হিন্দুদের প্রাচীনতম দেবতা শিব। যাঁকে বলা হয় দেবাদিদেব। কারণ, তিনি আদি এবং অনন্ত। এদেশের নানা জায়গায় ছড়িয়ে আছে অসংখ্য শিবমন্দির। যার অন্যতম দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ। আর, তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া মন্দির। এর বাইরেও ভারতে বহু শিবমন্দির আছে। যার মধ্যে অনেকগুলোই জাগ্রত বলে ভক্তদের কাছে পরিচিত।
এই সব মন্দিরগুলোকে ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনি। যেসব কাহিনি ভক্তদের মুখে ফেরে। এদেশের এমনই এক শিবমন্দির হল বুদ্ধেশ্বর মহাদেব মন্দির। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের মোহন রোডের কাছে এই মন্দির। যার ব্যাপারে ভক্তদের দাবি অপার বিস্ময় জাগাতে বাধ্য। কারণ, এই মন্দিরে নাকি প্রতিরাতেই ঘটে অলৌকিক সব কাহিনি।
কথিত আছে, দিনরাত এই মন্দিরে ভক্তদের আনাগোনা চললেও, মধ্যরাত হলেই ধেয়ে আসে অসংখ্য সাপ। তারা কোথা থেকে আসে, মধ্যরাত পর্যন্ত কোথায় থাকে এবং মধ্যরাতের পরই কেন আসে, সেনিয়ে ভক্তদের মধ্যে রয়েছে এক অপার কৌতূহল। তাঁরা এই ঘটনাকে দিব্যলীলা বলেই মনে করেন।
ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দিরে আজও ভগবান শিব বাস করেন। এই বিশ্বাসের সঙ্গে মিল রেখে মন্দিরটির শিবলিঙ্গকে ঘিরেও রয়েছে নানা কাহিনি। ভক্তদের দাবি, এই মন্দিরের শিবলিঙ্গকে স্পর্শ করলেই রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি মেলে। সাধারণ থেকে জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধি, সবই দূর হয়ে যায় এই মন্দিরের শিবলিঙ্গকে স্পর্শ করলে। এইসব কাহিনি শুনে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই মন্দিরে ভিড় করেন ব্যাধি-মুক্তির আশায়।
আরও পড়ুন- ব্যাধি সারাতে ভরসা শিবশংকর, ভক্তদের কাছে তিনিই বুড়োরাজ
এই মন্দির সম্পর্কে কথিত আছে, আগে এখানে গুহা ছিল। ভস্মাসুরকে বর দিয়েছিলেন ভগবান শিব। সেই বর পেয়ে ভস্মাসুর বরের ক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য ভগবান শিবের ওপরই তা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। পরিস্থিতি দেখে সেখান থেকে পালিয়েছিলেন শিব। তিনি সেই সময় দীর্ঘদিন আশ্রয় নিয়েছিলেন এই গুহায়। এখানেই ধ্যানমগ্ন থাকতেন।