কোনো এক হেলথ ম্যাগাজিনে পড়েছিলেন, দিনে দু ঘণ্টা অন্তর খাওয়াই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। ব্যাস! মাসের পয়লা তারিখেই আপনার নতুন ডায়েট চার্ট শুরু হল। ব্রেকফাস্টের ঘণ্টা দুয়েক পর গোটা দুই আম, সাথে খান তিনেক জলভরা। লাঞ্চের পর একটু কাজু, কিশমিশ, আরও কী সব বিদেশী ড্রাই ফ্রুটস। বিকেলের দিকে অফিসের উলটো দিকের ক্যাফে থেকে এক পিস চিকেন বার্গার, ঘরে ঢুকে ডিনারের কথা আর নাই বা বললাম। মাসের শেষে দামোদর শেঠ হওয়া থেকে আপনাকে আটকায় কে? তাই বলি কী, একটু রয়ে সয়ে নতুন ডায়েট চার্টটা শুরু করলে হয় না? না হয় একটা ডায়াটেশিয়ানের পরামর্শই নিলেন! তাতে আর যাই হোক, দু'কেজি ঝরাতে গিয়ে চার কেজি বাড়িয়ে ফেলাটা আটকাতে পারবেন।
আসল কথা কী জানেন, ওই যে আপনি পড়েছিলেন অল্প অল্প করে বেশি বেশি বার খেলে বিপাকের হার বাড়বে, তা আপনার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। আর কী কী খাবেন সেটা না জেনে, কখন কখন খাবেন, শুধু তাই-ই মেনেছেন আপনি। আর তা ছাড়া বাড়তি মেদকে নিয়ে মানুষের মনে যত মিথ আছে, ততটা আর কিছু নিয়েই নেই বোধহয়। দেখুন তো, আপনি নিশ্চয়ই এসব ভুল ধারণার শিকার হয়েছেন কখনও না কখনও
হজমশক্তি নির্ভর করে জিনের ওপর
আজ্ঞে না! বাতের ব্যথা, ক্যান্সার, এমন কী আপনার আচরণ পর্যন্ত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে জিন। কিন্তু আপনি কত তাড়াতাড়ি খাবার হজম করতে পারবেন, তার ওপর কোনও হাত নেই জিনের।
রাতের বেলা বিপাকের হার কমতে থাকে
বন্ধুদের সাথে শহরের নামী দামি বেকারিতে গেছেন। ৩টে চকোলেট মাফিন সাঁটিয়ে ঘড়ি দেখছেন। ঘড়ি সাতটার কাটা ছুঁলেই আপনার মুখ বন্ধ হয়ে যাবে, তাই তো? কিন্তু সাতটা বাজার আগে যতটা ক্যালোরি শরীরে ঢুকল, তারা কি ভ্যানিশ হয়ে যাবে এমনি এমনি?
সুপারফুড সমৃদ্ধ ডায়েট খেলেই রোগা হওয়া আটকায় কে
সুপারফুডে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট সব একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকে। বেহিসেবি ভাবে এই খাবার খেলেও তো সমস্যা সেই একই। যে পরিমাণ ক্যালোরি আপনার শরীরে ঢুকল, ততটা পুড়ল কই? ফলস্বরূপ আপনি আরও গোল হলেন।
দু ঘণ্টা অন্তর গিললেই মেদ আপনার আশেপাশে ঘেঁষবে না
ডায়েটেশিয়ানরা বলেন ঠিকই দু'ঘন্টা পর পর পেটে কিছু পড়লে বিপাকের হার বেড়ে যায়, তাতে ক্যালোরি ভেঙে যায়। কিন্তু তার জন্য উপযুক্ত ডায়েট দরকার। অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার অত ঘন ঘন খেলে রোগা হওয়া এ জন্মে হলনা বোধহয়।