Advertisment

নববর্ষে টুকিটাকি-স্যান্ডো থেকে নাইটি, বাঙালির অল্পপয়সার জিনিসে এত ঝোঁক কেন?

বাড়ির পর্দা থেকে টেবিল ম্যাট ... এসময়ে মানুষের সঙ্গে সঙ্গে সেজে ওঠে বাড়িও...

author-image
Anurupa Chakraborty
New Update
choitra sale, naboborsho this year, চৈত্র সেল, নববর্ষের মার্কেটিং, নববর্ষ ১৪৩০, এবারের নববর্ষ, naboborsho wish, naboborsho messages

চৈত্র সেল-নববর্ষের মার্কেটিং

চৈত্র শেষে পয়লা এল... বাঙালির কাছে নিউ ইয়ারের তুলনায় নববর্ষের গুরুত্ব ঠিক কতটা, এটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। নববর্ষ মানেই বাঙালির কাছে আবেগ, নতুন জামা থেকে খাওয়াদাওয়া এবং তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আড্ডা, উৎসব আরও কত কিছু। বাংলার ঘরে ঘরে বৈশাখকে স্বাগত জানাতে নানান প্রস্তুতি।

Advertisment

নববর্ষ মানেই খানাপিনা, নতুন জামা তো বটেই তাঁর সঙ্গে ঘরের কেনাকাটা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং আরও কত কিছু। খুঁজলে এমন পরিবারও মিলবে, যারা নববর্ষ এবং দুর্গাপুজোর মধ্যে ভাগ করে নেন, যে উপহার কার কাছে কোন পার্বণে পৌঁছে যাবে। নববর্ষ মানেই বড়দের প্রণাম, কোলাকুলি, এবং আশীর্বাদ পর্ব। কিন্তু নববর্ষে স্নান করে নতুন বসন কিন্তু একধরনের আনন্দ এবং তৃপ্তির মধ্যে পড়ে। চৈত্র সেল - এই শব্দটার সঙ্গে বাঙালি ভীষণ পরিচিত। দোকানে দোকানে কাড়াকাড়ি, নিজেদের পছন্দের জিনিস কম দামে ঝুলিতে ভরতেই মরিয়া সকলে।

কিন্তু চৈত্র সেলের প্রতি মানুষের এই যে অমোঘ আকর্ষণ এটি কেন? আর বছরের এই সেই নির্দিষ্ট সময় যখন মানুষ খুব দামী কিছুর পরিবর্তে অল্পদামী, ঘর সাজানোর জিনিস থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, সবকিছুই দরকার মত কিনে নেন সকলে। এইসময় দামী জামাকাপড় এর বদলে প্রতিদিনের দরকার লাগবে এমন কিছুই। চৈত্র সেল মানে কম দামে পুষ্টিকর জিনিস। বছর শেষে দোকানের স্টক ক্লিয়ার করতেও বেশ কিছুটা ছাড় দিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু নববর্ষ উপলক্ষে বোনাস অথবা উপরি টাকা আমদানির সূযোগও থাকে না। চাকুরীজীবিদের অনেকেরই মার্চ মাসে বছর শেষ। নতুন বছরের শুরুতে তাই বলে কি সেজে উঠবে না ঘরবাড়ি কিংবা নিজেরাও!

একদিকে নতুন বছর, আবার তার দিন আটেক এর মধ্যেই আবার অক্ষয় তৃতীয়া...নববর্ষ মানেই স্যান্ডো গেঞ্জি থেকে লুঙ্গি কিংবা নাইটি অথবা ফতুয়া। সাধারণত, বাঙালি পুজো ছাড়া দামী জামাকাপড়ের ক্ষেত্রে খরচ করতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। কিন্তু তাই বলে তো নতুন বছরে নতুন জামা না পড়লে চলে না। আবার কেউ কেউ প্রিয়জনদের একাংশকে নববর্ষের দিনই উপহার পাঠিয়ে থাকেন। বাড়িঘরের জিনিসপত্রের দিকেও নজর থাকে এসময়। পর্দা কিংবা টেবিল ম্যাট এসবও কিনে থাকেন অনেকে।

দিকে দিকে, যে পরিমাণ ভিড় তাতে পুজোর বাজার নাকি চৈত্র সেল বোঝা দায়। হাতিবাগান থেকে স্প্যালেন্ড কিংবা শ্রীরামপুর বাজারে মাছি গলা দায়। মানুষ বর্ষবরণের আনন্দে মেতে উঠেছেন। তবে, বড় বড় শপিং মল কিংবা দোকানের তুলনায় ফুটপাতের দোকানেই যেন ভিড় বেশি। দরাদরি, দামাদামি লেগেই রয়েছে। আকর্ষণীয় ছার দেখেই মানুষ দৌড়াচ্ছেন সেই দোকানে। আবার যারা বাড়িতে ব্যবসা করেন, তাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু একই রকম বিষয়। বিছানার চাদর থেকে সাধারণ দিনের পোশাক আশাক, এর বিক্রিই বেশি হয়ে থাকে।

noboborsho lifestyle
Advertisment