শীতকালে নাক বন্ধ সর্দি কাশি খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এবং সেই থেকেই কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষ অত্যধিক মাত্রায় চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। নাক বন্ধ থেকেই একরাশ ভয় গ্রাস করছে তাদের। অনেকেই শীতকালীন অ্যালার্জি থেকেও এসব সমস্যায় ভোগেন তবে এর সমাধান রয়েছে। তার সঙ্গে ধুলোবালি কিংবা ঠান্ডা লাগার ধাত থেকেও কিন্তু এই সমস্যা হতে পারে। প্রসঙ্গেই ধারণা দিয়েছেন চিকিৎসক রণবীর সিং ( কেয়ার হাসপাতাল, হায়দ্রাবাদ )।
তিনি বলছেন, শীতকালীন অ্যালার্জি থেকে নাক দিয়ে জল পড়া, গলা খুসখুস, চোখে লাল ভাব, কাশি এগুলো খুব সাধারণ বিষয়। তার সঙ্গেই নাক বন্ধের বিষয়টিকে উল্লেখ করে তিনি বলেন আসলে নাকবন্ধ বিষয়টি শরীরের প্রদাহের সঙ্গে জড়িত। অনুনাসিক গহ্বরের একটি আস্তরণ যখন অতিরিক্ত প্রদাহের মাধ্যমে নাসারন্ধ্রতে সমস্যা সৃষ্টি করে তখনই বায়ু চলাচলের প্যাসেজগুলি সরু হয়ে গিয়ে বায়ুপ্রবাহকে সংকুচিত করে। ফলে নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
বেশ কিছুদিন আপনি স্টাফি অনুভব করেন। কোনও গন্ধ পান না। এতে নাকের ভেতরের জ্বলীয় ভাব ক্রমশ স্ফীত হতে থাকে যেই কারণেই সর্দি এবং কফ যুক্ত কাশির সৃষ্টি হতে পারে। কীভাবে একে মুক্ত এবং পরিষ্কার রাখবেন? তিনি জানাচ্ছেন, ওভার দ্যা কাউন্টার ওষুধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন কিংবা নাকের জন্য ব্যবহৃত নানা ধরনের স্টেরয়েড আপনার কাজে আসতে পারে। আবার অনেকে নাকের জন্য প্রয়োজনীয় স্যালাইন ব্যবহার করে নিতে পারেন। এছাড়াও বারবার ঠান্ডা জল দিয়ে নাক ধুলেও কিন্তু সমস্যা কমতে পারে। এতে শ্বাস নেওয়ার অসুবিধা দূরে হয়। প্রতিদিনের নাসাল ড্রপের সঙ্গে অ্যালার্জিক রেনাইটিস কিন্তু কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।
যে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে তার মধ্যে,
চিকিৎসক জানিয়েছেন এই সময়ে দাড়িয়ে নাকে শ্লেষ্মা, ধুলো, বালি, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক জমা হতে পারে। শীতে সারা শরীরের সঙ্গে নাসারন্ধ্র এবং তার সংলগ্ন পর্দা সবকিছুই শুকিয়ে থাকে তাই জীবাণুর বাসা বাঁধার জন্য এটি আদর্শ স্থান।
বার বার নাক ধোয়ার অভ্যাস করুন। ভাল করে সাইনাস নালী পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করুন। নসাল ড্রপের মাধ্যমে একে ময়েশ্চার সমৃদ্ধ করুন। দরকারে এসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও বেশ কিছু শ্বাসযন্ত্রের উপযোগী ব্যায়াম অথবা প্রাণায়াম করতে পারেন।
বিশেষ করে শীতকালে ভিটামিন সি জাতীয় ফল যেমন আমলকী খাওয়া অভ্যাস করুন। এটি আপনার জন্য লাভদায়ক হতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন