বিগত একটা বছর ধরে বাড়িতে বসে বসে কোনও কিছুই যেন ঠিক নেই একেবারে! মন কিছুতেই বসে না, এদিকে বেরনোর জো নেই! তবে ধারে কাছে কিন্তু বেরনো যায়। মোটামুটি এখন অনেকেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করে ফেলেছেন তাই ছুটি কাটানোর প্ল্যান কিন্তু করাই যায়!
অসম গেলে কেমন হয়? তার কারণ এতদিন পর ফের পর্যটকদের জন্য খুলছে জাতীয় উদ্যানগুলি। এতদিন করোনা মহামারী এবং বর্ষার কারণেই বন্ধ রাখা হয় এই পর্যটন কেন্দ্রগুলি। সূত্র অনুযায়ী এই বছরের শুরুতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে পর্যটকদের আনাগোনা কমতে থাকে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই ওরাং জাতীয় উদ্যান এবং ১ অক্টোবর থেকেই কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকার কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
অবশ্যই থাকছে কঠোর কোভিড প্রোটোকল! মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং গ্লাভস তো বটেই তার সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ টিকাকরণ হওয়া প্রয়োজন কিনা সেই সম্পর্কে এখনও কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে নিজের স্বাস্থ্যের স্বার্থে কিছু নিয়মাবলি মেনে চললেই ভাল!
বনদপ্তর সূত্রে খবর, কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান যেটি এক শৃঙ্গ গন্ডারের জন্যই বিখ্যাত সেই উদ্যানের মাত্র তিনটি রেঞ্জেই প্রবেশের অনুমতি মিলেছে। দেশ বিদেশ থেকে আগত পর্যটকদের কেবল জিপে করে ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে তবে এখনও পর্যন্ত হাতির পিঠে চেপে যাত্রার সুপারিশ নিয়ে সঠিক মতামত নেই। তার সঙ্গে ওরাং ন্যাশনাল পার্কের ফরেস্ট অফিসার প্রদীপ্ত বড়ুয়া জানান, বর্ষার কারণে রাস্তার অবস্থা বেশ শোচনীয় এবং ভয়ানক। পর্যটকদের যাতে কোনওরকম অসুবিধে এবং বিপত্তি না হয় সেই চিন্তাও রয়েছে তাদের। তাই আপাতত সাফারির একটি অংশই খোলা হবে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। পরবর্তীতে রাস্তা সম্পূর্ণ ঠিক হলেই অন্যান্য অংশগুলি দর্শকদের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হবে।
মানস জাতীয় উদ্যানের দরজাও খুলে দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের উদ্দেশ্যে এবং সেখানেও থাকছে কোভিড বিধিনিষেধ। ক্যাবিনেটের এই সিদ্ধান্তে পর্যটন দপ্তর বেজায় খুশি। এবার তাহলে ছোট করে ঢুঁ মেরেই আসুন!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন