Navratri day 4 colour: বদলাতে পারে ভাগ্য! নবরাত্রির চতুর্থীতে এভাবে করুন কুষ্মাণ্ডার পূজা

Navratri day 4 colour: নবরাত্রি ২০২৫-এর চতুর্থ দিনে দেবী কুষ্মাণ্ডার পূজায় মিলবে সুস্বাস্থ্য, শান্তি এবং সমৃদ্ধি। জানুন পূজার শুভ সময়, রীতি, সামগ্রী আর ভোগের কাহিনি।

Navratri day 4 colour: নবরাত্রি ২০২৫-এর চতুর্থ দিনে দেবী কুষ্মাণ্ডার পূজায় মিলবে সুস্বাস্থ্য, শান্তি এবং সমৃদ্ধি। জানুন পূজার শুভ সময়, রীতি, সামগ্রী আর ভোগের কাহিনি।

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
Kushmanda Puja

Kushmanda Puja: কুষ্মাণ্ডা পূজাবিধি।

Navratri day 4 colour: শারদীয় নবরাত্রি ২০২৫ শুরু হচ্ছে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এবং শেষ হবে ২ অক্টোবর, বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে। নবরাত্রিতে প্রতিটি দিন একেক রূপে দেবী দুর্গার পূজা করা হয়। চতুর্থ দিনে পূজিত হন মা কুষ্মাণ্ডা। ইনি দেবীর চতুর্থ রূপ। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, তাঁর কৃপায় জীবনে আসে আত্মবিশ্বাস, ইতিবাচক শক্তি, সুস্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি।

Advertisment

কে এই দেবী কুষ্মাণ্ডা?

'কুষ্মাণ্ডা' নামটি এসেছে তিনটি শব্দ থেকে– 'কু' মানে ছোট, 'উষ্মা' মানে শক্তি/উষ্ণতা এবং 'অণ্ড' মানে ডিম বা সৃষ্টির বীজ। অর্থাৎ তিনি হাসি ও শক্তির মাধ্যমে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছিলেন। দেবীকে সাধারণত সিংহবাহিনী অষ্টভুজা দেবী রূপে চিত্রিত করা হয়। তাঁর হাতে থাকে কমণ্ডলু, ধনুক-বাণ, অমৃতকুম্ভ, জপমালা, গদা, চক্র ইত্যাদি। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, মা কুষ্মাণ্ডা অনাহত চক্র (হৃদয় চক্র)-এর অধিষ্ঠাত্রী। এই চক্র মানসিক শান্তি, ভালোবাসা এবং করুণার প্রতীক। তাই যাঁরা দুশ্চিন্তা, ভয়, দুঃখে ভোগেন, তাঁদের কাছে তিনি আশার আলো।

আরও পড়ুন- 'আরামবাগের গান্ধী'! সততায় যেন নিখাদ সোনা ছিলেন প্রফুল্ল সেন

নবরাত্রি ২০২৫: চতুর্থ দিনের শুভ মুহূর্ত

দৃক পঞ্চাঙ্গ পঞ্জিকা অনুযায়ী পূজার জন্য সর্বাধিক শুভ সময়গুলি হল: ব্রহ্ম মুহূর্ত: ভোর ০৪:৩৩ থেকে ০৫:২১, অভিজিৎ মুহূর্ত: সকাল ১১:৪৭ থেকে ১২:৩৫, বিজয়া মুহূর্ত: দুপুর ০২:১২ থেকে ০৩:০০। এই সময়ে পূজা করলে দেবীর সর্বোচ্চ আশীর্বাদ লাভ হয়। 

Advertisment

আরও পড়ুন- দুর্ভাগ্য দূর করে সৌভাগ্য আনুন জীবনে! জানুন টিপস!

চতুর্থ দিনে হলুদ রঙ পরিধান করা বিশেষ শুভ। হলুদ রঙ সুখ, আনন্দ, ইতিবাচক শক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। ভক্তরা এই দিনে হলুদ পোশাক পরে মা কুষ্মাণ্ডার আরাধনা করেন। পূজা সামগ্রীর মধ্যে লাগে সিঁদুর, মোলি (পবিত্র সুতলি), চন্দনের গুঁড়ো, চাল, ঘিয়ের প্রদীপ, তাজা ফুল ও মালা, মরশুমি ফল (৫ প্রকার), পানপাতা, সুপারি, এলাচ, লবঙ্গ। দেবীর বিশেষ ভোগের মধ্যে থাকে মালপুয়া (ভক্তরা বিশ্বাস করেন এই ভোগ মা কুষ্মাণ্ডাকে বিশেষভাবে সন্তুষ্ট করে।)

আরও পড়ুন- কন্যাকুমারী ভ্রমণ গাইড, দুই দিনে ঘুরে দেখুন তিন সাগরের মিলনস্থল

একনজরে দেবী কুষ্মাণ্ডা

বিষয়তথ্য
রূপনবদুর্গার চতুর্থ রূপ – দেবী কুষ্মাণ্ডা
নামের অর্থ“কু” = ছোট, “উষ্মা” = শক্তি/উষ্ণতা, “অণ্ড” = ডিম → ক্ষুদ্র হাস্য দিয়ে ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি
সৃষ্টির কাহিনিপ্রলয়ের অন্ধকারে দেবীর ঈষৎ হাস্য থেকে চরাচর জগৎ সৃষ্টি
অধিষ্ঠানসূর্যলোক
গাত্রবর্ণসূর্যের মতো উজ্জ্বল
বাহনসিংহ
রূপবর্ণনাঅষ্টভূজা দেবী, হাতে – কমণ্ডলু, ধনুক-বাণ, চক্র, পদ্ম, অক্ষমালা, গদা ও অমৃতপূর্ণ কলস
বিশেষত্বক্ষুদ্র হাস্য দ্বারা বিশ্বসৃষ্টি, সূর্যালোকে বিরাজমান
প্রিয় বলি/ভোগকুমড়ো বলি ও মালপোয়া ভোগ
পূজার দিননবরাত্রির চতুর্থ দিন
সাধনার কেন্দ্রঅনাহত চক্র (হৃদয় চক্র)
নিয়ন্ত্রণচন্দ্র এবং রাশিচক্রে ধনুরাশি
আশীর্বাদস্বাস্থ্য, শক্তি, ইতিবাচক শক্তি, সুখ-সমৃদ্ধি

পূজাবিধি

ব্রহ্ম মুহূর্তে স্নান করে পরিষ্কার হলুদ পোশাক পরিধান করুন। দেবীর আসনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। সিঁদুর, ফুল, মালা ও মৌসুমি ফল নিবেদন করুন। দেবীকে মালপুয়া ভোগ দিন। দুর্গা চল্লিশা, দুর্গা সপ্তশতী পাঠ ও দেবী কুষ্মাণ্ডার মন্ত্র পাঠ করুন। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, আরতি ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে দেবীর আশীর্বাদে দূর হয় জীবনের সব বাধা-বিপত্তি। পরিবারে আসে শান্তি, কর্মে সাফল্য এবং মনে জাগে নতুন সাহস। 

আরও পড়ুন- সন্ধিপুজো বাদ দিয়ে কি দুর্গাপুজো সম্ভব? সত্যিটা কী, ভালো করে জেনে নিন

নবরাত্রির চতুর্থ দিনে দেবী কুষ্মাণ্ডার পূজা মানেই জীবনের দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে নতুন আশার আলো।, আশা ও ইতিবাচক শক্তিকে আহ্বান করা। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই দেবীর কৃপায় হৃদয় থেকে মুছে যায় অন্ধকার, ভরে ওঠে আনন্দ এবং শান্তি। 

Colour Day Navratri