সামনেই মহালয়া। তার পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে নবরাত্রি। নবরাত্রি শব্দের অর্থ হল নয়টি রাত। হিন্দুধর্মে নবরাত্রির গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, নবরাত্রি মানে মহাদেবীর এক একটি রূপের আরাধনা। বিশেষ করে যাঁরা সাধক, তাঁদের কাছে এই নবরাত্রি হল আরাধনার বিশেষ সময়। আর, যাঁরা ভাগ্য সন্ধানী, তাঁদের কাছেও এই নবরাত্রি তন্ত্রমতে ভাগ্য ফেরানোর সুযোগ্য সময়।
হিন্দুমতে বছরে চারটি নবরাত্রি রয়েছে। তার মধ্যে একটি নবরাত্রি সামনেই। মহালয়ার পরদিন থেকে যা শুরু হবে। চলবে টানা নয় দিন। একে বলে শারদীয়া নবরাত্রি। এই নবরাত্রি প্রতিবছর সাধারণত হয় অক্টোবর মাসে। এর পরের নবরাত্রি মাঘ নবরাত্রি। যা আসে শারদীয়া নবরাত্রির ঠিক তিন মাস পর জানুয়ারিতে। তারও তিন মাস পর এপ্রিলে আসে চৈত্র নবরাত্রি। এর পরের নবরাত্রি আসে চৈত্র নবরাত্রির ঠিক তিন মাস পর জুলাইয়ে।
তবে, এই চার নবরাত্রির মধ্যে শারদীয়া এবং চৈত্র নবরাত্রির প্রচার বেশি। বাকি দুটি নবরাত্রি মাঘ এবং আষাড়ের প্রচার কম। তাই তাদের বলে গুপ্ত নবরাত্রি। এর মধ্যে গুপ্ত নবরাত্রি পালন বেশিরভাগই তান্ত্রিকরাই করে থাকেন। শারদীয়া নবরাত্রির প্রথম দিনে বা প্রতিপদে শৈলপুত্রী, দ্বিতীয় দিন বা দ্বিতীয়ায় ব্রহ্মচারিণী, তৃতীয় দিনে বা তৃতীয়ায় চন্দ্রঘণ্টা, চতুর্থ দিনে বা চতুর্থীতে কুষ্মাণ্ডা, পঞ্চম দিন বা পঞ্চমীতে স্কন্দমাতা, ষষ্ঠ দিনে বা ষষ্ঠীতে কাত্যায়নী, সপ্তম দিন বা সপ্তমীতে কালরাত্রি, অষ্টম দিন বা অষ্টমীতে মহাগৌরী, নবম দিন বা নবমীতে সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনা করা হয়।
আরও পড়ুন- ডাকাতকালী নয়, এ হল ডাকাতদুর্গা মন্দির, অত্যন্ত জাগ্রত বলেই বিশ্বাস ভক্তদের
চৈত্র অমাবস্যায় আবার প্রতিপদে ভদ্রকালী, দ্বিতীয়ায় জগদম্বা, তৃতীয়ায় অন্নপূর্ণা, চতুর্থীতে সর্বমঙ্গলা, পঞ্চমীতে ভৈরবী, ষষ্ঠীতে চণ্ডিকা, সপ্তমীতে ললিতা, অষ্টমীতে ভবানী এবং নবমীতে মুকাম্বিকার আরাধনা করা হয়। গুপ্ত নবরাত্রিগুলোয় আবার মহাবিদ্যার আরাধনা করা হয়। অর্থাৎ প্রতিপদে কালী, দ্বিতীয়ায় তারা, তৃতীয়ায় ভৈরবী, চতুর্থীতে ভুবনেশ্বরী, পঞ্চমীতে বগলামুখী, ষষ্ঠীতে ষোড়শী ত্রিপুরাসুন্দরী, সপ্তমীতে ছিন্নমস্তা, অষ্টমীতে ধূমাবতী, নবমীতে দেবী মাতঙ্গীর আরাধনা করা হয়।