Neck pain your posture and doctors advice: শুধুমাত্র একটা বদভ্যাস। আর, তাতেই নিজের ঘাড়ের নিজে বড় ক্ষতি করছেন। ডাকছেন সাড়ে সর্ব্বনাশ। আর, আপনার এই নিত্যদিনের অভ্যাস আপনারই ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে প্রায় ২৭ কেজি ওজনের বোঝা। যা এখনই বন্ধ না করলে মহাবিপদে পড়বে আপনার ঘাড়, আর আপনি নিজেও।
চিকিৎসকের সতর্কবাণী
বৈশালীর ম্যাক্স হাসপাতালের অর্থোপেডিকস এবং জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট বিভাগের কর্তা ডা. অখিলেশ যাদব। তিনি বলেছেন, এজন্য মেরুদণ্ডের জটিল বায়োমেকানিক্স বোঝাটা অত্যন্ত জরুরি। ডা. যাদব বলেছেন, 'কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন সবসময় সোজা হয়ে বসতে বলা হয়? কেনই বা ফোন এবং ল্যাপটপ চোখের সুবিধাজনক দূরত্বে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়? কারণ, ফোন বা টিভি দেখার সময় একটা ভুল শারীরিক ভঙ্গি ঘাড়ের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে।'
ওজন কীভাবে বাড়ছে
কনটেন্ট ক্রিয়েটর শিবম আহলাওয়াত বিষয়টি আরও ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর তালিকা দেখলেই বোঝা যাবে, শরীরের ভঙ্গী কেমন রেখে ফোনের দিকে তাকানো উচিত। তিনি বলেছেন-
সোজা হয়ে বা ০ ডিগ্রিতে বসলে – ঘাড় ৫ কেজি ওজন বহন করে
১৫ ডিগ্রিতে বসলে – ঘাড় ১২ কেজি ওজন বহন করে
৩০ ডিগ্রিতে বসলে – ঘাড় ১৮ কেজি ওজন বহন করে
৪৫ ডিগ্রিতে বসলে – ঘাড় ২২ কেজি ওজন বহন করে
৬০ ডিগ্রিতে বসলে – ঘাড় ২৭ কেজি ওজন বহন করে
সেই কারণে আহলাওয়াত বলেছেন, 'তাই ঝুঁকে বসাটা যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। না-হলে আপনার সার্ভিকাল বা ঘাড়ে বিপদ নেমে আসতে পারে।'
ঘাড়ের ক্ষতি
ডা. অখিলেশ যাদব বলেছেন, 'ঘাড় সোজা রাখলে মাথার ওজন সার্ভিকাল কশেরুকা, ইন্টারভার্টেব্রাল ডিস্ক এবং আশপাশের পেশীগুলির মধ্যে সমানভাবে ছড়িয়ে যায়। যাতে একটা জায়গায় চাপ কম পড়ে। কিন্তু, ঘাড় যখন সামনের দিকে বেঁকে যায়, তখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তি মাথার ওজনকে বাড়িয়ে দেয়। তাতে, ঘাড়ের ওপর চাপ বাড়ে। এই বর্ধিত স্ট্রেসই পেশী, লিগামেন্ট এবং ডিস্কগুলোতে চাপ বাড়িয়ে দেয়। যা ক্রমশ ঘাড়ে অস্বস্তি বাড়ায়। ঘাড়কে শক্ত করে তোলে। এর ক্ষতি করে।' ঘাড়ে ব্যথার অধিকাংশ কারণই দীর্ঘদিন ধরে ঠিকমতো না বসে কাজ করার ফল বলেই ডাক্তার যাদব জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- তাপপ্রবাহে চরম ক্ষতি হচ্ছে শরীরের এক বিশেষ অঙ্গের! জানেন সেকথা, বাঁচবেন কীভাবে?
যন্ত্রণা দূর করতে কী করা উচিত?
ব্যায়াম, ফিজিক্যাল থেরাপি, হিট বা আইস থেরাপি। তবে, ব্যথা দূর করাই যথেষ্ট নয়। দীর্ঘদিনের জন্য মেরুদণ্ডকে সুস্থ এবং সবল রাখতে শারীরিক ভঙ্গিমার দিকে বেশি নজর দেওয়া জরুরি বলেই জানিয়েছেন ডাক্তার যাদব।