/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/neem759-1-1.jpg)
একে তো করোনার প্রকোপ, তার উপর ঋতু বদলের সময়। সর্দি, জ্বর, কাশি, নানারকম অ্যালার্জি লেগেই রয়েছে। এমনিতেই সিজন চেঞ্জের সময় ঘরে ঘরে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, কিন্তু এই বছরের ব্যাপারটা আলাদা। করোনার অন্যতম লক্ষ্যণ হিসাবে সর্দিজ্বরকে চিহ্নিত করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। যদিও অনেকের মতে, সর্দিজ্বর হলেই করোনা আতঙ্কে মুখ শুকিয়ে ফেলার দরকার নেই৷ কারণ সর্দিজ্বর এই সময়ে খুবই স্বাভাবিক। তাছাড়া অনেক সময় কোনও রকম লক্ষণ ছাড়াই শরীরে থাবা বসাচ্ছে করোনা। কিন্তু সাবধানের মার নেই৷ যথাসম্ভব সুস্থ থাকা জরুরি। তাই সিজন চেঞ্জের সময়টায় ফেরা যেতে পারে নিমপাতার কাছে। শতকের পর শতক ধরে নিমপাতা কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেছে।
নিমের নানা গুণ
সংস্কৃতে নিমকে বলা হয় নিম্বা, যার অর্থ সুস্থ শরীর (গুড হেলথ)। ঋতুবদলের সময় নিমপাতা দেওয়া জলে স্নানের দাওয়াই কয়েকশো বছরের পুরনো ট্র্যাডিশন। ত্বকের সমস্যা, চুলের সমস্যা, অ্যালার্জির প্রকোপ রুখতে নিমের জবাব নেই। সেই সঙ্গে সর্দি, কাশি, জ্বর প্রতিরোধী ভূমিকা তো আছেই। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের অনেকখানি জুড়েই রয়েছে নিমের গুণগান। ঋতুসন্ধি বা সিজন চেঞ্জের সময় নিম কার্যত অপরিহার্য। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, জ্বরজারি, ঠান্ডা লাগা সারায়। কোভিড-১৯ রুখতে সবচেয়ে জরুরি হল ইমিউনিটি বাড়িয়ে ফেলা। কিন্তু বড্ড তেতো হওয়ায় অনেকে নিমের রস খেতে পারেন না, তাই নিয়মিত নিম দেওয়া জলে স্নান করা উচিত। বিশেষ করে এই গ্রীষ্ম থেকে বর্ষার সময়টাই নিম অপরিহার্য।
আরও পড়ুন, মন খারাপের দাওয়াই এক বাটি দই!
গরম জলে মিনিট পাঁচেক নিমপাতা ফেলে সেই জল ঠান্ডা করে স্নান করা যেতে পারে। এতে ত্বক ও চুলের প্রভূত উপকার হবে। নিম অ্যান্টি ব্যাকট্রিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল। খুশকি রুখতেও বিরাট ভূমিকা নেয় নিম। গরমকালে শরীরে যে র্যাশ বের হয়, তা দূর করতেও নিম কার্যকর। পিম্পল, ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা সমাধানেও নিমের জবাব নেই। বেশি আর্দ্র আবহাওয়ায় থাকেন যাঁরা, তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনে নিম ব্যবহার করা উচিত। চোখের অ্যালার্জি সারাতেও কার্যকর নিম।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন