নিম, আসলেই এমন একটি পদার্থ যাতে হাজারো গুণ সমৃদ্ধ। এটি পরিশোধক হিসেবে হোক কিংবা খাবার হিসেবে, তার সঙ্গেই ভেষজ গুণ কিন্তু চমকপ্রদ। আবার অনেকেই নিমপাতা ভেজে খেতেও বেশ পছন্দ করেন। দেখা যায়, স্কিন পরিচর্চার ক্ষেত্রে নিম পাতা ফুটিয়ে ওয়েনকেই স্নান করেন কিংবা সেটি দিয়ে মুখ ধোয়ার অভ্যাস থাকে। তবে এটি আসলেই স্কিনের পক্ষে বেশ ভাল। যেমন?
Advertisment
নিমের অনেক গুণ, এর দাঁতন যেমন দাঁত মজবুত রাখতে যাতে দুর্গন্ধ না হয় সেদিকে রক্ষ রাখে। তেমনই অন্যদিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই দাঁতন দিয়েই ব্রাশ তৈরি হয়। তবে বিশেষ করে নিম তেল ভীষণ ভাবে স্কিনের পক্ষে উপকারী, নানাভাবে এটি স্কিনের উন্নতি ঘটায়!
প্রথম, স্কিনের জ্বলুনি এবং চুলকানি ভাব এটি দুর করে। এটি ত্বকের প্রদাহ দুর করে শুধু তাই নয়, এতে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং গ্লাইসেরাইড দারুণ মাত্রায় থাকে। যেটি ত্বকের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী! ফলেই অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে এটি বেশ ভাল কাজ করে।
দ্বিতীয়, স্কিন টোনার হিসেবেও এটি বেশ কয়েক কাজ করে। তার কারণ, নিম তেল স্কিনে প্রয়োগ করলেই এটি লোমকূপগুলো কে খুলে দেয় যে কারণে কোষের উজ্জ্বল ভাব দেখা দিতে পারে। এর কারণে স্কিনের অনেক সমস্যা দুর হতেও দেখা যায় তার মধ্যে একটি কালো দাগ।
তৃতীয়, এটি ভাল সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় দেখা যায়, এটি স্কিনের ওপর একটি পাতলা আস্তরণ হিসেবে কাজ করে, ঠিক তেমনই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বলেই এটি সূর্যের আলোর থেকে রেহাই দিতে পারে।
চতুর্থ, এটি একটি ভাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। অর্থাৎ, এটি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এবং সঙ্গেই আন-স্যাচুরেটেড ফ্যাট হিসেবে স্কিনের আদ্রতা তথা উজ্জ্বল ভাব ধরে রাখে।
পঞ্চম, নিম তেল ভীষণ ভাবে হাইপার পিগ মেন্ট দূর করতে সাহায্য করে। মেলানিন এর উৎপাদন মাত্রা কম করে ফলে চামড়ার কালোভাব অনেকটা কমে যায়। এছাড়াও মেচেতার দাগও কম করতে পারে।