বাঙালি খাবারের প্রেমে না পড়ে কি উপায় আছে? ঝাল থেকে মিষ্টি থেকে টক আহারে বাহার শব্দটা যেন এক্কেবারে মানানসই। দেশের সোনার পুত্র নীরজ চোপড়া অতিথি হিসেবেই আমন্ত্রিত ছিলেন প্রাণের শহর কলকাতায়। বলাই উচিত বাঙালি আতিথেয়তায় নিদারুণ খুশি তিনি।
অলিম্পিক স্বর্ণপদক জয়ী নীরজ আগেও জানিয়েছিলেন কী সাংঘাতিক পরিমাণ খাদ্যরসিক তিনি। নতুন ধরনের খাবার খেতে ভীষণ ভালবাসেন। কলকাতায় উপস্থিত ছিলেন একটি বিশেষ সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে। আর শহরে এসেই কব্জি ডুবিয়ে উপভোগ করেছেন নানান বাঙালি খাবার। কী ছিল না তাতে! লুচি থেকে আলুর দম, পাঁঠার মাংস থেকে চিংড়ির মালাইকারি ভূরিভোজ এক্কেবারে জমজমাট।
দিব্য আগ্রহ নিয়েই খেতে বসেছিলেন নীরজ তার কোনও সন্দেহ নেই। কলা পাতায় সুসজ্জিত খাবারের সমাবেশ তাঁকে দারুণ মুগ্ধ করেছে। নিজে থেকেই জেনে নিয়েছেন একের পর এক খাবারের পদের নাম। কোনওরকম অন্য প্রদেশের মেনু একেবারেই না। সম্পূর্ণ বাংলার রান্নাঘরের শ্রেষ্ঠ খাবার খেয়ে বেজায় খুশি নীরজ। মোচার চপ, ভেটকি রোল, এবং গন্ধরাজ মুরগি ভাপা, ঝালেঝোলে অম্বলে খাতিরে কোনও খামতি রাখা হয়নি।
মিষ্টি খেতেও ভীষণ পছন্দ করেন নীরজ। শেষে নিজেই রসগোল্লা এবং মিষ্টি দইয়ের আবদার করে বসেন। এই দুটিই নাকি তাঁর ভীষণ প্রিয়। এমনিতেও বিমানবন্দরে নামার পরেই ফুলের তোড়া থেকে বেকড রসগোল্লা- উপহারে সাধ্যমতো ভরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। আসন্ন দুর্গোৎসব! সেই দিকেও বেশ মন তাঁর। শহরে এসে বেশ কিছু অসম্পূর্ণ প্যান্ডেলে ঘোরার কথা ভোলেননি তিনি। প্রথমবার কলকাতা ভ্রমণ বেশ দারুণ ভাবেই সম্পন্ন সেই বিষয়ে কোনও সঙ্কোচ নেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন