করোনা, ডেল্টা, ওমিক্রনের পর এবার ভাইরাসের তালিকায় নয়া সংযোজন নিওকোভ (NEOCOV)। নতুন এই ভাইরাসের খোঁজ মিলতেই যেন চারিদিক শোরগোল। কেউ কেউ শুনেছেন আবার কেউ কেউ জানেন না এই প্রসঙ্গে। তবে ভাইরাসের এই নয়া রূপ কিন্তু আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে। জানা যাচ্ছে এটি মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের প্রজাতি স্বরূপ! সুতরাং ভয়ের আশঙ্কা এটাই যে কতটা পরিমাণে এটি ক্ষতি করতে পারে।
বিজ্ঞানীরা কী জানাচ্ছেন এই বিষয়ে?
চীন প্রদেশের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের খোঁজ মিলতেই সতর্কতা শুরু করে দিয়েছেন। তাদের মতামত এই ভ্যারিয়েন্ট যেমন ছোঁয়াচে ঠিক তেমনই ক্ষতিকারক। তারা জানাচ্ছেন এই ভাইরাস থেকে আক্রান্ত তিনজন ব্যক্তির মধ্যে একজন মৃত্যুর কবলে পড়তে পারেন। এবং যেই পরিমাণে আশঙ্কা করা যাচ্ছে যে বর্তমানের ভ্যাকসিন গুলি একেবারেই কাজ করবে না এই ভাইরাসের থেকে রক্ষা দিতে। তবুও নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রসঙ্গে এখনও অনেক গবেষণা প্রয়োজন, এবং নিরন্তর সেই কাজ করাই হচ্ছে।
প্রথম ধাপেই বিজ্ঞানের পরিভাষা বলছে এই ভ্যারিয়েন্ট কিন্তু খারাপ প্রমাণিত হতে পারে যদি মানুষ ঠিকভাবে নিজেকে সতর্কতা মেনে নেয় রাখেন। কী পরিমাণে এগুলি সংক্রমিত করতে পারে মানবদেহকে?
জানা যাচ্ছে, ওমিক্রন যেমন হাই মিউটেশন সমৃদ্ধ, এটিও ঠিক সেই পরিমাণে কিংবা তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে ছোঁয়াচে। এই ধরনের ভাইরাসগুলো অ্যান্টিজেনিক ড্রিফটের মাধ্যমে মানুষের অভিযোজনকে আঘাত করে এবং চট জলদি সংক্রমণ ঘটায়।
গবেষণায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন এই ভাইরাসের সূত্রপাত কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নয়। বরং কম করে ২০১২ সালের কাছাকাছি সময়ে এটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কিছুটা সক্রিয় অবস্থায় ছিল। যেই দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে বর্তমানের ওমিক্রন সৃষ্টি, সেই দেশের বাদুড়ের শরীরে এটিকে পাওয়া গেছিল এবং বলা উচিত এটিও করোনা ভাইরাসের রূপ স্বরূপ। তবে আশঙ্কা একদিকে, বর্তমান ভ্যারিয়েন্ট গুলির সঙ্গে মিলে গিয়ে এটি প্রচুর ক্ষতি করতে পারে। ভাইরাস পরস্পরের সংস্পর্শে এলে নিজেদের ক্ষমতা, মিউটেশন সংগ্রহের মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে পারে।
প্রতিকার কীভাবে কাজ করতে পারে?
যতদূর জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট এর ক্ষেত্রে, অ্যান্টিবডি দ্বারা একে বাগে আনা সম্ভব নয়। এটির সংক্রমণের পন্থা বেশ অন্য ধরনের! চিকিৎসকরা বলছেন এটি কোষে রিসেপ্টর প্রোটিন সরবরাহ করে ফলেই ভাইরাসের অন্যরূপ গুলি, সেই ড্রপলেটকে সঙ্গে করেই সংক্রমন ঘটাতে পারে। নিরাপত্তার ওপর এই ভাইরাস একটু হুমকি! শুধু তাই নয় ওমিক্রন সংক্রমন ছিল মৃদু উপসর্গ, তবে এটিতে মৃত্যু ঝুঁকি থাকছে বলেই জানিয়েছেন তারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন