দোকানে দোকানে এখন যে ওষুধের ক্রাইসিস তার মধ্যে একটি প্যারাসিটামল। মানুষ এখন ডজন ডজন ওষুধ কিনে শুধু বাড়িতে জমিয়ে রাখছেন। এবং এই প্যারাসিটামল কিন্তু এখন অনেককেই রোগের হাত থেকে বাঁচাতে সক্ষম। ওষুধ খেতে গেলে পানীয় অবশ্যই প্রয়োজন। সাধারণত বেশিরভাগ মানুষ জল কিংবা গরম দুধ অথবা চা সহযোগে ওষুধ খেতেই বেশি পছন্দ করেন তবে যে পানীয়গুলো একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না সেগুলো সম্পর্কে জানেন ?
সাধারণত জ্বর, কিংবা ভাইরাল ইনফেকশন সারাতে প্যারাসিটামল ব্যবহার করা হয়। এই একটি ওষুধ থেকেই কিন্তু মানুষ অনেক সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন। তবে যা কিছুর সঙ্গে এটিকে সেবন করা কিংবা অত্যধিক মাত্রায় এটি খেলে কিন্তু শরীরে সমস্যা আসতেই পারে। এমনকি ভুল পানীয় সঙ্গে থাকলে মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে। সুতরাং এই বিষয়ে সতর্কতা রাখা দরকারি।
যে পানীয়গুলো একেবারেই এরসঙ্গে চলে না?
তার মধ্যে, মাদক জাতীয় পানীয়, সোডা এবং সফট ড্রিংক অথবা কোল্ড ড্রিঙ্কস জাতীয় কিছু। এগুলি শরীরে ওষুধের সঙ্গে মিশে গিয়ে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। এক একটা ওষুধের প্রভাব একেক রকম। এবং এই ঝাঁঝালো অথবা অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় দিয়ে ওষুধ সেবন করলে শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়া হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কিছু ওষুধ খালি পেটে শুধু জল দিয়ে খেতে হয়, আবার কিছু ওষুধ গরম দুধ দিয়ে অথবা গরম জল দিয়ে। সুতরাং মাথায় রাখবেন যেন বেশি ঝামেলা করতে গিয়ে কোল্ড ড্রিঙ্ক অথবা মাদক দিয়ে ওষুধ না খান। অ্যালকোহলে এথানোল থাকে, এবং সেটি প্যারাসিটামলের সঙ্গে বিষক্রিয়া করেই বমি, মাথা ঘোরানো, অজ্ঞান করে দেওয়ার মত সমস্যা করতে পারে। দুটি একসঙ্গে জুড়ে গিয়ে শরীরে টক সিন বেড়ে যায়। সঙ্গেই লিভারে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে সাংঘাতিক তীব্র অসুখের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। সুতরাং এই বিষয়ে একটু নজর দেওয়া আবশ্যিক!
কতটা পরিমাণে প্যারাসিটামল একদিন খাওয়া যেতে পারে?
সারাদিনে ৪০০ গ্রাম প্যারাসিটামল কিন্তু অবশ্যই কাজ করতে পারে ভালভাবে। যদি অত্যধিক মাত্রায় আপনি এটি গ্রহণ করতে থাকেন, তাহলে কিন্তু লিভার সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনি অ্যালকোহল পান করে থাকেন, তবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। এবং এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। তরল প্যারাসিটামল গ্রহণ করলেও পরিমাপ করুন। অতিরিক্ত ওষুধ আপনার জন্য খারাপ প্রমাণিত হতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন