সম্প্রতি ড্রোনের তোলা ফুটেজের মাধ্যমে ধরা পড়েছে একদল আদিবাসীর জীবনযাত্রা। স্পষ্টতই বিচ্ছিন্ন একটি উপজাতি, যার সদস্যদের বাইরের জগতের সঙ্গে কোনো লেনদেন নেই।
অ্যামাজনের জঙ্গল বলতেই তটস্থ হয়ে ওঠে প্রাণ। বইয়ের পাতা হোক বা ডিস্কভারি চ্যানেল বা সিনেমায় দেখা দৃশ্য, সবেতেই অ্যামাজনের জঙ্গল নিয়ে ভয় ও রহস্য মিশ্রিত ছবি আঁকা আছে আমাদের মনে। ঐ জঙ্গলে আবার মানুষ বাস করে নাকি! অবশ্যই করে। আজও বহু আদিবাসী বাস করে ওই ঘন জঙ্গলে। এবং সম্প্রতি ড্রোনের তোলা ফুটেজের মাধ্যমে ধরা পড়েছে একদল আদিবাসীর জীবনযাত্রা। স্পষ্টতই বিচ্ছিন্ন একটি উপজাতি, যার সদস্যদের বাইরের জগতের সঙ্গে কোনো লেনদেন নেই।
Advertisment
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পেরু এবং ব্রাজিল সীমান্তের কাছাকাছি জাভিরি নদীর উপত্যকায় জঙ্গলের মাঝে এক ছোট্ট ভূখণ্ড, যেখানে হাঁটাহাটি করছেন গুটিকয়েক মানুষ। ছবিগুলি ফুনাই নামক এক সরকারী সংস্থার অভিযানের ফলে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়াও ফুনাই আরও অনেক ছবি তুলেছে সেখানকার। যেমন পাম গাছ ও খেজুর গাছ দিয়ে তৈরি বাড়ি, পাথর দিয়ে তৈরি ধারালো অস্ত্র যার হাতল কাঠের, এ ছাড়াও কুঁড়ে ঘরের ছবি।
"এই অঞ্চলের আটটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা বহির্বিশ্বে পরিচিত। এখানে অবস্থিত অন্তত ১১ জনের কোনও পরিচিতি ছিল না," জানিয়েছে ফুনাই।
জঙ্গলের ভিতর এতদিন বিভিন্ন এজেন্সি থেকে প্রায় ১১০ মাইল বোট, ট্রাক, মোটরসাইকেল করে ভ্রমণ করেছে। ৭৫ মাইল পায়ে হেঁটেও ওই এলাকা অবধি পৌঁছানো যায়নি। ফুনাই জানায়, পুলিশ বাহিনী বাইরের দুটি দলকে আটক করেছে যারা লাইসেন্স ছাড়াই শিকার করে জঙ্গলে, এ ছাড়াও অনেকে রয়েছে যারা বিনা অনুমতিতেই জমি অধিগ্রহণ করে নেয়। তবে এরা সেই দলের কিনা তা এখনও অবধি জানা যায়নি। এছাড়া এইসব আদিবাসীরা মূলত প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে থাকেন।
সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনালের মতে, ফুনাই একমাত্র সরকারি সুরক্ষা সংস্থা যারা আদিবাসীদের রক্ষা করার লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। যে সব আদিবাসীরা বাইরের জগতের সঙ্গে কোন ভাবেই যোগাযোগ রাখেননা, তাঁদের সুরক্ষিত রাখার দায় নিয়ে থাকে এই সরকারি সংস্থা।