Advertisment

তিন মাসের সন্তানকে নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে এসে নজির গড়লেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

রাষ্ট্রপুঞ্জের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক রয়টারসকে বলেছেন, "রাষ্ট্রনেতাদের মোট ৫ শতাংশ মহিলা। কর্মরত মায়েদেরকে আমাদের যত বেশি সম্ভব উৎসাহ দেওয়া দরকার।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নাম তার নেভে তে আরোহা। রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে কনিষ্ঠতম সদস্য। বয়স? তিন মাস। এত ছোট বয়সে আর কেউ কখনও আসেনি রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায়। নেভে অবশ্য এসেছে ওর মায়ের কোলে চেপে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আর্ডার্নের তিন মাসের ছোট্ট পরিটার নাম নেভে। মা সভায় বক্তৃতা দিতে উঠলে নেভে ছিল বাবা ক্লার্ক গেফোর্ডের কোলে।

Advertisment

রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় যোগ দেবে, অথচ নিজের পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকবে না, তা কী হয়? উপস্থিত সাংবাদিকরা দেখতে চাইলে জেসিন্দার সঙ্গী গেফোর্ড তাও দেখালেন। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে সে ছবি পোস্ট করে মজা করে ক্লার্ক লিখেছেন "মেয়ের ন্যাপি বদলানোর সময় জাপানি গণ্যমান্যরা ঢুকে পড়েছিলেন ঘরে।"

গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্ডার্ন বলেন, "আমার বাচ্চাকে কর্মক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আমার আছে, সব জায়গায় তা থাকে না। কর্মক্ষেত্রে মা তাঁর সন্তানকে নিয়ে যাবেন, এই বিষয়টিকে যদি আমরা স্বাভাবিক ভাবে দেখতে পারি, তাহলে বুঝব, আমরা একটা জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি।"

এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক রয়টারসকে বলেছেন, "রাষ্ট্রনেতাদের মোট ৫ শতাংশ মহিলা। কর্মরত মায়েদেরকে আমাদের যত বেশি সম্ভব উৎসাহ দেওয়া দরকার।"

সোশাল মিডিয়াতেও খুব প্রশংসিত হয়েছে আর্ডার্নের এই পদক্ষেপ।

নেটিজেনদের কেউ বলছেন, এটাই নিয়ম হওয়া উচিত।

নেভের মায়ের এই উদ্যোগকে খুবই বলিষ্ঠ মনে করছেন আধিকাংশ মানুষ।


এমন এক গুরুত্বপূর্ণ এবং অতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করতে হল ৭৩ বছর, কিন্তু শেষমেশ হল তো, এই ভেবেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন অনেকে।

Advertisment