করোনা মহামারীর বছর দুয়েক অতিক্রান্ত। বিশ্বের নানা দেশে যেমন এটিকে এন্ডেমিক বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে তেমনই বেশ কিছু প্রান্তে নতুন করেই সবার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তার মধ্যে চিন এবং ইউকে অন্যতম। সেই দেশগুলিতে করোনা মহামারীর নতুন উপসর্গ নিয়েও যথেষ্ট চিন্তিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নতুন কিছু গাইডলাইন পেশ করা হয়েছে। তবে বৈদেশিক স্তরে গলা ব্যাথা, গা হাত পা ব্যথার সঙ্গেই যেটি সবথেকে বেশি মাথাচাড়া দিচ্ছে সেটি হল ডায়রিয়া।
বিবিসি এর রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে যে উপসর্গ গুলি সবথেকে বেশি দেখা গিয়েছিল ; জ্বর, সারাক্ষণ ধরে কাশি, এবং স্বাদ ও ঘ্রাণ হ্রাস। তবে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বর্তমানে সেই তালিকায় আরও কিছু উপসর্গের কথা উল্লেখ করেছে। যেমন : শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা অনুভব করা, গা হাত পা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যাথা, নাক বন্ধ সঙ্গে খিদে কমে যাওয়া এবং ডায়রিয়া।
এই প্রসঙ্গে ভারতের চিকিৎসকদের কী মতামত?
ফর্টিস হাসপাতালের চিকিৎসক রবি শেখর ঝা বলছেন, এই ধরনের উপসর্গ গুলি ভারতে বহুদিন ধরেই চিকিৎসকরা দেখে আসছেন। তাই নতুন করে এগুলি প্রভাব বিস্তার করবে না। গলা ব্যাথা এমনিও ভাইরাল ইনফেকশন এর একটি লক্ষণ, পেশীতে ব্যথা হোক কিংবা ডায়রিয়া, ওমিক্রন এর কারণে অনেক উপসর্গই দেখা গেছে। আবার গা হাত পায় ব্যথা কিংবা দুর্বলতা শুধু মহামারী নয় বরং চিকুঙ্গুনিয়া কিংবা ফ্লু এরও প্রভাব।
তার সঙ্গেই সহমত পোষণ করছেন চিকিৎসক জয়লক্ষি টিকে। তিনি বলছেন, নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্ট অর্থাৎ ওমিক্রন BA1 এবং BA2 এদের ভিত্তি করেই উপসর্গ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ভাইরাসের নয়া অবতার গুলি যথেষ্ট হালকা এবং এর প্রভাবে মানুষের শারীরিক অধোগতি খুব একটা হয় না। গলা ব্যাথা হোক কিংবা ডায়রিয়া, আতঙ্ক খুব একটা নেই।
এর আগেও নানান ধরনের ভ্যারিয়েন্ট থেকেই, ফুসফুসের কিংবা হার্টের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যতটুকু মহামারী নিয়ে গবেষণা বলছে, তাতে ডেল্টা কিংবা অন্যান্য ভাইরাসগুলো ক্ষতি করার প্রবণতা ছিল, সেই জায়গায় ওমিক্রন এতটাও জটিল নয়।