রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে এবারের কার্তিক পুজো। প্রতিবছর কার্তিক মাসের শেষ দিন, কার্তিক সংক্রান্তি তিথিতে এই পুজো হয়।
পূজার সময়কাল
১৭ নভেম্বর ২০২৩ (শুক্রবার)। চতুর্থী বেলা ১১টা ৩০ অবধি। তার পরই পঞ্চমী শুরু। শনিবার সকাল ৯টা ৪৫ পর্যন্ত পঞ্চমী আছে।
কার্তিকের নাম
বাংলায় তিনি দেবসেনাপতি কার্তিক নামে পরিচিত হলেও তামিলরা কার্তিক পূজা করেন মুরুগান নামে। এছাড়াও তিনি স্কন্দ, সুব্রহ্মণ্যম নামেও পুজো পান। যদিও শুধু এই কয়েকটি নামই নয়। কার্তিকের আরও বিভিন্ন নাম আছে। যেমন- অম্বিকেয়, কৃত্তিকাসুত, কুমার, দেব সেনাপতি, গৌরীসুত, শক্তিপানী ইত্যাদি। কার্তিকের ছয় মাথা, তাই তাঁকে ষড়াননও বলা হয়।
কার্তিকের বর্ণ ও বাহন
পুরাণ অনুযায়ী, কার্তিকের গায়ের রং হলুদ। বাহন ময়ূর। হাতে থাকে তির, ধনুক, বর্ষা। তিনি দেবতাদের সেনাপতি, মহাপরাক্রমশালী যোদ্ধা, দৈববলে প্রাপ্ত অজেয় শক্তির অধিকারী, বধ করেছিলেন তারকাসুরকে।
কার্তিকের স্ত্রী
বাংলায় কার্তিক চিরকুমার নামে পরিচিত হলেও, পুরাণ অনুযায়ী তিনি ব্রহ্মা এবং সাবিত্রির মেয়ে দেবী ষষ্ঠীকে বিয়ে করেছিলেন। বিষ্ণুর মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। ইন্দ্রের মেয়ে দেবসেনাকেও বিয়ে করেছেন। দক্ষিণ ভারতে প্রচলিত যে কার্তিকের আবার দুই স্ত্রী- দেবসেনা এবং বল্লি।
কার্তিকের জন্মবৃত্তান্ত
পুরাণ অনুযায়ী, শিব ও পার্বতীর মিলনে জ্যোতিঃপিণ্ড তৈরি হয়। রতির অভিশাপে পার্বতী গর্ভে সন্তান ধারণ করতে পারেননি। অগ্নিদেব তেজোময় জ্যোতিঃপিণ্ড নিয়ে পালিয়ে যান। কিন্তু, সেই তেজ সহ্য করতে না-পেরে গঙ্গায় নিক্ষেপ করেন। সেই তেজোরাশি গঙ্গায় বাহিত হয়ে অপূর্ব রূপবান শিশুর জন্ম দেয়। শিশুটিকে ছয় কৃত্তিকা স্তন্যপান করান। সেই জন্য তিনি কার্তিক নামে পরিচিত হন। একথা জানতে পেরে পার্বতী শিশুটিকে কৈলাসে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন- কন্যারূপে এসে সাহায্য করেছিলেন কালী, রামপ্রসাদের বসতবাড়িতে আজও পূজিতা হন দেবী
কার্তিক পুজোয় লাভ
কার্তিক পুজো করলে সন্তান হয়, বিয়ে হয়, সংসারের শ্রীবৃদ্ধি হয়, আর্থিক লাভ হয়, মঙ্গলের দোষ কেটে যায়। আর, সেই কারণে অবিবাহিতদের ভৌম বা মঙ্গলের দোষ কাটাতে, নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভের আশায় কার্তিক পুজোর চল আছে।