বিশ্বের সবথেকে প্রাচীনতম চিকিৎসা পদ্ধতি অর্থাৎ আয়ুর্বেদ সব রোগের থেকে মুক্তির পথ আপনাকে বলে দিতে পারে। তেমনই বর্তমানে সবথেকে বেশির চর্চায় যে রোগটি সেটি হল অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। সকলের প্রিয় বাপ্পী দার হঠাৎ মৃত্যুতেই যেন এই রোগের সম্পর্কে মানুষের মনে আরও বেশি করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে এর থেকে সুরক্ষিত থাকার বেশ কিছু আয়ুর্বেদিক উপায় রয়েছে। জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ অন্বেষা মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলছেন এটি আসলে একটু ছুপারুস্তম রোগ, অর্থাৎ হঠাৎ করেই এমন কিছু হয়ে যাবে যে বুঝতে পারা সম্ভব নয়। বিশেষ করে যাদের ওজন বেশি, নাক ডাকার সম্ভাবনা কিংবা শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তারা এই রোগের দ্বারা প্রভাবিত হতেই পারেন। তবে মাথায় রাখতে হবে একেবারেই দেরি করলে চলবে না, লক্ষণ বোঝার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করাতে হবে।
কী কী উপসর্গ দেখা যায়?
- দিনের বেলায় অত্যধিক ঘুমের লক্ষণ
- রাতে ঘুম না আসা অথবা ইনসোমনিয়া
- মুখ দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করা
- জোরে নাক ডাকা এবং ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা
- গলা আটকে আসা, সঙ্গেই কাশি এবং ঘুমের ব্যাঘাত
- সকাল থেকে মাথা যন্ত্রণা, তথা মুখ গলা শুকিয়ে যাওয়া
- দিনের বেলায় নিজের কাজে মন দিতে না পারা
- উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ ব্লাড সুগার
- মেজাজের অবনতি, ডিপ্রেশন এবং উদ্বেগ
আয়ুর্বেদের উপায়ে কীভাবে ভাল থাকবেন?
তিনি বলছেন, বেশ কিছু মুল তথা পাতা গাছ ইত্যাদির সেবনে যেমন এই রোগের মাত্রা কমতে পারে তেমনই যোগাসন করলেও এর থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কি ধরনের কী সেবন করবেন?
সর্পগন্ধা, অস্বগন্ধা, শংখ্যাপুস্পি, যোষ্ঠী মধু, ত্রিফলা, গুগ্গুল এবং তুলসী... এই ধরনের আয়ুর্বেদিক পাতা সেবনে শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
কোন ধরনের যোগাসন গুলি এর পক্ষে ভাল?
অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে গেলে সারাদিনে অন্তত তিনটি আসন অভ্যাস করতেই হবে। তাও আবার মিনিট পাঁচেক প্রত্যেকটি..
প্রথম বজ্রাসন - এই আসনে বসলে শরীরের গ্যাস, অম্বল বাধা বিপত্তি থেকে দূরে সরা যায়। এবং নাসারন্ধ্র ভালভাবে কাজ করতে পারে।
উস্থ্রিয়াসানা - এই আসনের মাধ্যমেও নাভি যোগ থেকে সবকিছুই বেশ ভাল কাজ করতে পারে। সুতরাং এটি অভ্যাস করতেই হবে। এই দুটির সঙ্গেই মিলিয়ে বালাসন এবং তিতলিয়াসন অভ্যাস করতে হবে।
এবার রইল বেশ কিছু ছোট টিপস যেগুলি আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে:-
- পাশ ফিরে শুন, সোজা হয়ে ঘুমাবেন না।
- বেশি করে ফল, সবজি, সেরেল খান।
- গরম জল খান সারাদিনে দুইবার।
- মদ্যপান এবং ধূমপান ত্যাগ করুন।
- টক জাতীয় দলের স্যালাড খান।
- এসি ঘরে ঘুমানো থেকে বিরত থাকুন।
- ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের ম্যাসাজ করুন। এটি ভাল প্রমাণিত হবে।