নটা ছটার কর্পোরেট জীবন, আজ এই কলিগের বার্থ ডে ট্রিট, তো কাল প্রোমোশন পার্ট। সব মিলিয়ে সারাদিন অফিসে বসেই বিরিয়ানি-মাটন, চাইনিজ ক্য়ুইজিন’ময় জীবন। এ দিকে খেয়ালই করেননি পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে আপনার মধ্য়প্রদেশ। ওজন মাপতে গিয়ে চক্ষুচড়ক গাছ। অন্য়দিকে আট-ন ঘণ্টা ডেস্কে বসে কাজের বদলও সম্ভব নয়। যাঁদের এমন শাঁখের করাত অবস্থা তাদের জন্য় রইল কিছু সমাধান।
অফিস বেরোনোর যতই তাড়া থাকুক, সকালে ভারী ব্রেকফাস্ট করে তবেই বাইরে বেরোবেন। একটু বেলার দিকে অফিস হলে ভাত খেয়ে নিন, এতে পেট ভরা থাকে অনেকক্ষণ। ফলে সারাদিন খিদে পাওয়ার প্রবণতাও কমে যাবে অনেকটা।
অফিসে প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর অন্তত ১০ মিনিট বিরতি নিন। পারলে অফিস করিডোরে হেঁটে আসুন। বা ফোনে কথা বলার সময় এক যায়গায় দাঁড়িয়ে কথা না বলে হেঁটে হেঁটে কথা বলুন।
বিরিয়ানি থেকে চাইনিজ, অফিসের নিচে ছড়াছড়ি নানা কুইজিন, তাই রান্না করে অফিসে টিফিন আনার ঝামেলা নেই। এতে সময় বাঁচলেও শরীরের ঘোর ক্ষতি করছেন আপনি। রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন যতটা সম্ভব। বাড়ির তৈরি খাবার খান অফিস লাঞ্চে।
অফিস চেয়ারে বসেই হালকা স্ট্রেচিং করুন। মাথার হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এতে একভাবে বসে কাজ করার ক্লান্তি মিটবে। কলিগ-এর সঙ্গেও টিপস শেয়ার করুন। অফিসে জিমের সুবিধে থাকলে সেখানেও ঢুঁ মারতে পারেন অবসরে।
কাজের ফাঁকে মুখ চালানো অনেকেরই অভ্য়াস। চকোলেট আর চিপসের প্য়াকেটেই ডেস্ক ভরিয়েছেন এতদিন! তাহলে এবার একটু বদলে ফেলুন আপনার স্ন্যাকস লিস্ট। ড্রাইফ্রটস আর লো ফ্য়াট কুকিজ রাখুন সঙ্গে। এবার খিদে পেলে অনায়াসে কাজ চলবে এতেই।
কাজ করতে করতে জল খান প্রচুর পরিমানে। লাঞ্চের বিরিয়ানি থেকে কলিগের জন্মদিনের পেস্ট্রি সবটাই হজম হয়ে যাবে ডেস্কে বসেই।
সপ্তাহের প্রথমেই মোটামুটি একটা প্ল্য়ান করে নিন সারা সপ্তাহের অফিসে কী ধরনের খাবার নিয়ে যাবেন, এতে আপনার কাজও অনেকটা সহজ হবে, সময়ও বাঁচবে পাশাপাশি বজায় থাকবে ডায়েটও।
অফিস যাতায়াতের পথে হাঁটুন। ফেরার পথে পুরো রাস্তা না হলেও অন্তত দুটো স্টপেজ আগে নেমে হেঁটে বাড়ি ফিরুন। পরের দিনের বাজারটাও সেরে ফেললেন সেই ফাঁকে। অফিসের লিফ্ট ব্যবহার কমিয়ে সিঁড়ি দিয়েই ওঠা নামা করুন। ক্য়ালরির অনেকটাই ব্য়ালেন্স হয়ে যাবে এতেই।