চারিদিকে যেন ফের অসুস্থতার রেশ। সবকিছু ঠিক হওয়ার পরেও আটকানো গেল না নতুন করে সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই মাত্রা ছাড়িয়ে ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যে একদিনের সংক্রমণ কম করে হাজার ছুঁই ছুঁই। তবে শুধুই ওমিক্রন নয় চারিপাশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। এবং সেই আতঙ্কের কারণেই জেরবার চিকিৎসকরা। তাদের এতদিনের পরিশ্রম দের বৃথা প্রমাণিত হওয়াতে যথেষ্ট শঙ্কায় তারা।
তবে চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, দুই ভাইরাসের জেরে হতে পারে সাংঘাতিক অবস্থা। একেতেই ডেল্টা ভাইরাসের প্রভাবে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে এর দুইয়ের প্রভাবে মানবজীবন দুর্বিসহ হতে পারে বলেই আশঙ্কায় সকলে। এবং তাদের এক আশঙ্কাতে সহমত জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের মতে এই দুই ভাইরাস মিলে সুনামি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। ফলেই আতঙ্ক ঝেড়ে ফেলা যাচ্ছে না। অনেক চিকিৎসকদের মতে এই ওমিক্রন বেশি ক্ষতিকর নয়, তবে সমস্যা এখানেই যে এটিকে WHO এর তরফ থেকে কনসার্ন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ জানিয়েছেন, এটির ছোঁয়াচে ভাব এতই বেশি যে একসঙ্গে অনেক মানুষ সংক্রমিত হতে পারে। তবে যে বিষয়টি বর্তমানে নজরে আসছে, সেটি হল ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরেও কিন্তু পরবর্তীতে কোভিড সংক্রমণ চাগাড় দিচ্ছে। তাই চিন্তা থাকছেই। সঙ্গেই তিনি আরও বলেন শুধু নিজেরা নয়, তারসঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও প্রচুর মানুষ আজকে আক্রান্ত। চিকিৎসকদের একদল মহামারীর কবলে তাই মানুষের নিজেকে নিয়ে চিন্তিত থাকা উচিত অন্তর সতর্কতা অবলম্বন করা অবশ্যই দরকার। তাদের ধারণা এই হারে চলতে থাকলে বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শুধু নয় তার সঙ্গে যুক্ত সব মানুষ ভেঙে পড়বেন। এবং বিশেষ করে যারা এখনও ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ গ্রহণ করেনি তাদের কিন্তু মৃত্যু ঝোঁক থাকছে।
কী করবেন এমন অবস্থায়?
সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী নিজেকে কিছুদিন অবদ্ধের মধ্যেই রাখুন। চেষ্টা করুন প্রয়োজন ছাড়া কম বেরতে। বেশি লোকজন যুক্ত এলাকায় বেরবেন না। চিকিৎসকরা যে আশঙ্কা করেছিলেন সেই যেন ঠিক হল। ক্রমশ মাত্রা ছড়ানোর কারণে আজকে জনজীবন বিপন্ন। পারলে ডবল মাস্ক ব্যবহার করুন। সঙ্গে গ্লাভস রাখবেন, এদিক ওদিক হাত দেবেন না। চশমা ব্যবহার করুন। বারবার চোখ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। বাইরে থেকে এসেই স্যাভলন জল দিয়ে গরম জলে হাত পা ধুন। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ না হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটি করুন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। সন্দেহ থাকলে সেই মানুষের সংস্পর্শে যাবেন না। এর মিউটেশন এতই বেশি, যে প্রচুর সমস্যা থাকতে পারে এবং গোষ্ঠী সংক্রমণ হতে পারে।
এরমধ্যেই জানা গিয়েছে কাল থেকে রাজ্যে বেশ কিছু পরিসরে থাকছে বিধিনিষেধ! বন্ধ থাকছে বেশ কিছু পরিষেবা - লোকাল ট্রেন এবং মেট্রোতে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে যাত্রী সংখ্যা। জরুরি পরিষেবায় রয়েছে ছার। তারপরেও দরকার না পড়লে বাইরে বেরনো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন