নতুন বছরের শুরুতে, সব পুরনো বিসর্জন দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পালা। তার মধ্যেই ভাইরাসের আক্রমণে সবকিছুই যেন দোলাচলে তার মধ্যেই একটি মানসিক অশান্তি। শরীরের দিক থেকে যতই অসুস্থ মানুষ থাকুক না কেন, মন কিন্তু আসল। মন থেকে ভেঙে না পড়লেই কিন্তু মানুষ রোগ থেকে এবং অসুস্থতা থেকে দূরে থাকতে পারে।
বিগত দুই বছর ধরে মানুষ শরীরের সঙ্গে সঙ্গেই মানসিক ভাবে ভীষণ জর্জরিত। এবং ভাল থাকার ইচ্ছে মানুষ যেন একেবারেই ভুলেই গেছে। বিশেষ করে যারা বয়স এর দিক থেকে একটু বড় তারা কিন্তু বেশি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। সেই সমস্যাটি কিন্তু বেজায় জটিল। মন থেকে ভাল না থাকলে চারিপাশের কিছুই ভাল থাকার কথা নয়।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
তাদের মতামত অনুযায়ী এই সমস্যাটি দেখতে খুব ছোট মনে হলেও চিকিৎসাশাস্ত্রে খুবই জটিল। কারণ বিগত দুই বছরে মানুষ নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে ভুলে গেছে, নিজেদের চেনা ছন্দ থেকে জীবন একেবারেই বদ্ধ হয়ে গিয়েছে। স্কুল কলেজ বেশ অনেকদিন বন্ধ থাকার পর নতুনভাবে খুলেছে। সুতরাং নিজেকে এর মধ্যে থেকে বের করার পর মুহূর্তেই ফের ওমিক্রনের জের। তাই নতুন করে আতঙ্কের মধ্যে ঢুকে যাওয়ার আগেই পরিস্থিতির বদল আনা প্রয়োজন। অন্তত চারিপাশের পরিবেশ না হোক, তবে মানসিকভাবে নিজেকে অনেক শক্ত রাখা আবশ্যিক।
তাদের মতামত অনুযায়ী, নিজেদের উদ্বেগ তো বটেই তার সঙ্গে পরিবারের সকলকে নিয়ে এক নিদারুণ চিন্তা পুনরায় চাগাড় দিয়েছে। মন এবং মেজাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সব পরিস্থিতিকে গ্রহণ করতেই হবে। হতাশা এবং ডিপ্রেশনের থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা খুব দরকার।
কীভাবে নিজেকে মানসিক ভাবে সুস্থ রাখতে পারবেন?
ঘরের কাজ এবং কর্মক্ষেত্রের মধ্যে বিভেদ রাখা খুব দরকার। নিজের মন না চাইলে সেই কাজ করবেন না। এতে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
সারাদিনের কাজের মধ্যে নিজের জন্য সময় বের করতেই হবে। নিজেকে রিচার্জ করা খুব দরকার।
চারিদিকের পরিস্থিতি দেখে যা বুঝছেন কিংবা মন যা বলছে সেই কথাই ব্যক্ত করুন। চেপে রাখবেন না।
যেটি আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তেমন কিছু করার চেষ্টায় থাকুন। গুরুত্ব বুঝেই কাজ সম্পন্ন করুন।
সদয় থাকুন। নিজের অভিজ্ঞতা এবং অন্যদের পরামর্শ নিয়ে বদল আনতে হবে।
সারাক্ষণ কাজ কর্মে না থেকে বাইরে বেড়িয়ে ছোট ছোট খুশিতে সামিল হন। দরকারে ব্যায়াম করতে পারেন। নিজেকে ভাল রাখতে বিনোদেনের সহায়তা নিতে পারেন।
মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ভাল করুন। সম্পর্ক ভাল রাখলে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।
ডিজিটাল মিডিয়া কিংবা সোশাল মিডিয়া থেকে একটু ছুটি নিন। মানসিক স্টিমুলেশন বজায় রাখুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন