Omicron and Eye infection: ভাইরাসের রেশ কোথায় গিয়ে শুরু হয় আর কোথায় গিয়ে শেষ হয় সেই সম্পর্কে কোনও ধারণাই থাকে না। গত ৪/৫ দিনে নেই নেই করে পশ্চিমবাংলায় প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তার একটাই কারণ বড়দিন এবং পরবর্তীতে চিকিৎসকদের আশঙ্কা নতুন বছরের কারণেই সেই সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে। তবে ভাইরাস নাক মুখ এবং ত্বকের স্পর্শের পরবর্তীতে চোখের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
তারা জানিয়েছেন যদিও বা এটি শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা কিন্তু ওমিক্রনের লক্ষণ সম্পূর্ণ আলাদা। সেই বিষয়ে নজর দিলে দেখা যায় এটি অনেক নতুন উপসর্গের সৃষ্টি করছে। সুতরাং সাবধান থাকাই ভাল। বিশেষ করে যারা চোখের রোগে আক্রান্ত যেমন কর্নিয়া ডিজিস অথবা নেত্রনালী কিংবা গ্লুকোমা থাকলে বেজায় সমস্যায় পড়বেন। তাই একটু সাবধানে থাকা দরকার। কারণ শীতকালের বাতাসে শুষ্কতা খুব বেশি থাকে, এবং সেই বাতাস থেকেই ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস।
চোখ থেকে কীভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে?
চিকিৎসকরা বলছেন নয়তো বাতাস থেকে নয়তো বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেই বিশেষ করে চোখ ভাইরাসের ঘেরাটোপে আসতে পারে। তারা জানিয়েছেন কনজংটিভার মাধ্যমেই চোখের নরম অংশ এবং কর্নিয়াকে ধাক্কা দিতে পারে এটি। তারসঙ্গে চোখের পাতায় জমে থাকা ধুলোকনার সঙ্গে বিক্রিয়া করেও বাড়াতে পারে সমস্যার মাত্রা।
একবার যদি আপনার চোখ ভাইরাসের কবলে পড়ে তবে এর থেকে কনজাংটিভাইটিস, চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়া কিংবা এগুলি ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন চোখের পাতা ফুকে থাকা এবং নিচের অংশ অসম্ভব চুলকানো অনুভূত হতে পারে। কম করে ১০% মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। তবে এই ক্ষেত্রে কীভাবে চিকিৎসা সম্ভব সেই নিয়েও চিন্তায় সকলেই। সবরকম ড্রপ যেমন ব্যবহার করা যাবে না তেমনই তারা উপদেশ দিচ্ছেন বারবার করে চোখ ঠান্ডা জল দিয়ে ধুতে, সম্ভব হলে চোখে জলের ঝাপটা দিন।
অনেকেই ভাবছেন কীভাবে সম্ভব? এর আগেও জানা গিয়েছে এটি স্পর্শকাতর অর্থাৎ এমন কিছুর ওপর হাত দিলেন যাতে ভাইসারটির উপস্থিতি বিদ্যমান। সেইক্ষেত্রে ওই হাত যদি আপনি চোখে দেন তাহলেই দারুণ মুশকিলে পড়বেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই এর আক্রমণের ক্ষমতা ক্রমশ বাড়ছে সুতরাং বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
কীভাবে নিজেকে এর থেকে সুস্থ রাখতে পারবেন?
প্রথমেই চশমা ব্যবহার করুন। পাওয়ারের চশমা হলে ঠিক আছে, না থাকলে বাইরে বেরলেই সানগ্লাস ব্যবহার করুন। এতে ভাইরাস সরাসরি চোখে ইফেক্ট করতে পারবে না। হাত অযথা চোখে দেবেন না। বরং ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে এবং বাইরে থাকলে সকলেই জানেন স্যানিটাইজার ব্যবহার করা খুব দরকার। জলে হালকা স্যাভলন মিশিয়ে কিংবা নিম পাতার রস মিশিয়ে তুলো দিয়ে চোখের পাতা এবং নিচ পরিষ্কার করুন। যদি চোখের সমস্যা থাকে চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নিন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন