চারিদিকে ভাইরাসের নয়া রেশ, প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যায় হাই-জাম্প! রাজ্যের সঙ্গেই দেশে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত। এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে দ্বন্দ্বের শেষ নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল এটি কনসার্ন বটেই তবে স্বল্প ক্ষতিকারক এবং মৃদু উপসর্গ যুক্ত। এতে হসপিটাল সংক্রান্ত ঝামেলা নেই, তবে বাঁধ সাধছে এখানেই যখন ওমিক্রন এবং ডেল্টা দুই একইসঙ্গে সংক্রমিত করছে মানুষকে। এক মাসের কাছাকাছি সময় অতিবাহিত। তবে এখন WHO এর সুর কিন্তু একেবারেই অন্য দিকে। কী জানা গেছে শেষ গবেষণায়?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এটি একেবারেই মাইল্ড নয়! প্রথম দিকে যখন এটির হদিশ মেলে সেইভাবে এটি মানবদেহকে ক্ষতি করবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছিলেন তারা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য রিপোর্টও একই কথা বলেছিল। তবে বদল ঘটেছে বিশ্ব জুড়ে আক্রান্তের এবং মৃত্যসংখা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই। এটি কম ক্ষতিকারক হলেও একেবারেই সাধারণ নয়।
বিশ্ব জুড়ে এর এমন লক্ষণ দেখেই নিত্য নতুন গবেষণার মধ্যে দিয়েই নয়া তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। কী জানা গিয়েছে তাতে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আধিকারিক তেদ্রস অধানাম ঘেব্রেয়েসুস জানিয়েছেন, ক্রমশই হসপিটালে ভর্তি হতেই দেখা যাচ্ছে মানুষকে। অনেকে মারাও যাচ্ছেন। তবে ডেল্টার তুলনায় এটি কম ক্ষতিকর, সাধারণ নিজস্বতার অর্থে একেবারেই নয়। সুতরাং সাবধান হওয়া দরকার।
ভারতীয় বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এই ভাইরাস একটু কম ক্ষতিকর হলেও এমনও হতে পারে যে এর পরবর্তী ভাইরাস মারাত্মক প্রভাব ফেলে দিয়ে গেল। তাই এর সংক্রমণ কমাতেই হবে।
বয়স্কো মানুষদের ওপর এর প্রভাব সাংঘাতিক বলেই জানিয়েছে চিকিৎসকরা। ভ্যাকসিন নিয়েও লাভ নেই। তথাকথিত যুব সম্প্রদায়ের ওপর এর প্রভাব কিছুটা কম। কারণ তাদের ইমিউনিটি বেশি।
ওমিক্রন মৃদু সংক্রমণের বাহক! এই তকমাতেই রয়েছে ভুল। সেই কারণেই মানুষের নিত্য নৈমিত্তিক আচরণের কারণেই আজকের এই ফলাফল। প্রথম থেকে সতর্কতা অবলম্বন করলে এই সমস্যা হতই না।
বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন এটি নিজস্ব পথে চলতে থাকলে সকলকেই সংক্রমিত করতে পারে। তবে দৈহিক ইমিউনিটি দ্বারা ধাক্কা খেলে বেশ কিছুটা সমস্যা কম করতে পারে। এখনও সম্পূর্ণ বিষয়টি পরিষ্কার নয়! তাই অবশ্যই ভাবনা চিন্তার প্রয়োজন আছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন