করোনা ভাইরাসের এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট থেকে আরও কী কী হতে পারে সেই নিয়েও রয়েছে অনেক অজানা বিষয়। সহজেই এটিকে মৃদু উপসর্গের তকমা চিকিৎসকরা দিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে এর থেকে সমস্যা ক্রমশই বাড়ছে। এমনকি বর্তমানে এর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে অনেক মানুষের। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, প্রথম থেকে হার্টের ঝুঁকি কিন্তু ছিলই, তবে এবার কমে গেছে - এমন ভুল ভাবনার কিন্তু একেবারেই প্রয়োজন নেই।
করোনা ভাইরাস সবসময়ই শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করতে সক্ষম তার মূল এবং প্রধান উদাহরণ হার্টের সমস্যা। বেশিরভাগ মানুষ যারা আগেও করোনা দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা নয়তো ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন নয়তো বা হার্টের সমস্যায়!
কী বলছেন এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা?
বেশিরভাগ চিকিৎসকরাই প্রথম থেকে একে মৃদু উপসর্গের বাহক বলেই জানিয়েছিলেন কিন্তু যতদিন যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে এটিও কিছু কম নয়। বরং ওমিক্রন পরবর্তীতে মানুষ কিন্তু পুনরায় হার্টের সমস্যার সম্মুখীন। আবার কেউ কেউ নতুন করেই এর কবলে পরছেন। এর কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বেশ কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে:
শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি হার্টকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতি করছে। এবং যেই কারণেই দৈহিক রক্ত এবং রক্তকোষগুলি দূষিত রক্তের সঞ্চার করছে। ফলেই হার্টের সঙ্গে সঙ্গে কিডনিও ক্ষতিগ্রস্থ।
এমনকি বেশিরভাগ মানুষ যারা কোভিড কিংবা ওমিক্রন থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিউমোনিয়ার কবলে পরছেন। সেই রোগের পাল্লায় পরেও কিন্তু ফুসফুস একরকম ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়ার পথে। ফলেই হার্ট কিন্তু একেবারেই শঙ্কার মুখে।
চিকিৎসকরা এমনও জানাচ্ছেন, শরীরের অতিরিক্ত প্রদাহ রক্তনালীর পৃষ্ঠিগুলিকে ফুলিয়ে দেয়। এবং সেই থেকেই যখন রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কম হতে থাকে ঠিক তখনই মাইক্রোডাইটিস, রক্ত জমাট বাঁধা এবং সঠিক ভাবে প্রবাহিত না হওয়ার মত সমস্যা দেখা যায়।
এটি কতটা মারাত্মক পর্যায় সৃষ্টি করতে পারে?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যথারীতি ওমিক্রন থেকে হার্টের সমস্যা সাম্প্রতিক দেখা দিলে তাদেরকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া কিংবা অক্সিজেন সাপোর্টে রাখার প্রয়োজন হচ্ছে না। তবে যারা প্রথম থেকেই ক্যান্সার কিংবা কিডনি এবং হার্টের রোগী তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু কিছু মারাত্মক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। অনেকেরই অটো ইমিউন অবস্থার কারণে শরীরে অ্যান্টিবডি মোড অনেকভাবে সাহায্য করছে। এখনও পর্যন্ত জটিল সমস্যার সৃষ্টি খুব কমই দেখা গেছে।
আবার এমনও দেখা গিয়েছে যে ভর্তি হয়েছেন হার্টের সমস্যা নিয়েই এবং তার মধ্যে হঠাৎ করেই মিলেছে ভাইরাসের হদিশ। ঘটনাক্রমে তাদের মধ্যে যাবতীয় রোগের লক্ষণ একটু বেশিই দেখা গিয়েছে। তবে সতর্ক থাকাই জরুরি। যদি আপনি আক্রান্ত নাও হন অন্তত একবার চিকিৎসককে দেখিয়ে নিন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন