ওমিক্রন শনাক্তকরণ নিয়েই যত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এটির ট্রান্সমিশন মাত্রা এতই বেশি যে প্রভাব এবং উপসর্গ দুটিই কম। তবে দেশে মৃত্যু হয়েছে একজনের এমন হদিশ মিলেছে গতকালই। গবেষকরা জানাচ্ছিলেন এটির খোঁজ পেতে কম করে ২/৩ দিন সময় লাগে তারপরেও মার্কিন স্বাস্থ্য সচিবদের মতে আপনি বাড়িতে ব্যবহৃত টেস্ট কিট থেকেই এর হালকা আন্দাজ পেতে পারেন।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
যদিও বা সরকারি দপ্তর থেকে বারবার জানানো হয়েছে, এই টেস্টগুলো থেকে ওমিক্রন শনাক্ত করা সম্ভব নাও হতে পারে তবে চটজলদি ভাইরাসের হদিশ পেতে এগুলি বেশ কার্যকরী। কিন্তু অন্য কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞর একদল - মার্কিনী প্যথলজিস্ট জানিয়েছেন সর্বশেষ ইন্ডিকেটর থেকে ডেল্টা নাকি ওমিক্রন নাকি সবকিছুই জানা সম্ভব। সুতরাং হালকা আঁচ আপনিই পেয়েই যাবেন।
বৈজ্ঞানিকদের কী মতামত?
তারা এখনও গবেষণায় রত। তবে চেষ্টা এখানেই যাতে সত্যিই উন্নতি সাধনের মাধ্যমে এই রেপিড টেস্টের মাধ্যমেই ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই টেস্ট কিটগুলির থেকে কিন্তু মানুষ জানতে পারেন যে আদৌ তারা ওমিক্রন দ্বারা আক্রান্ত কিনা - তবে সংবেদনশীলতা হ্রাস হতে পারে। একটি সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে বৈকল্পের ধারণা পাওয়া সম্ভব।
গবেষণার ধারণা কী এই প্রসঙ্গে?
মার্কিন প্রদেশের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন এটির ছড়িয়ে পড়ার মাত্রা এতই বেশি এবং উপসর্গ এতই কম যে শনাক্ত করা খুব কঠিন।তাই জোড়ালো কোনও ব্যবস্থা করা উচিত অবশ্যই। শরীরের সেনসিটিভ ভাব থেকে যদিও বা এটি নজরে আসে কিন্তু কতটা এর প্রভাব বা মাত্রা সহজেই বোঝা যায় না কিন্তু এত কিছুর পরেও এর উপস্থিতি বুঝতে পারাই আসল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে কী জানা গেছে?
তারা জানিয়েছেন যদি বাড়ি বসেই এর খোঁজ মেলে তবে মানুষের পক্ষে বেশ লাভদায়ক। এবং টেস্ট করানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরোনোর প্রয়োজন নেই। মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টিও আগে থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। যেখানে উপসর্গ না থাকলেও আপনি আক্রান্ত হতে পারেন এবং সেই রিপোর্ট মিলবে কম করে ৪/৫ দিন পরে সেখানে এটি বেশ কার্যকরী। অন্তত আপনি ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা সেটির ইঙ্গিত মিলবে।
তবে পরবর্তীতে এর মাত্রা বেশি না কম সেই প্রসঙ্গে কিন্তু আসলেই টেস্ট করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণের সন্দেহ থাকলে গাফিলতি করবেন না। নেতিবাচক ফলাফল হতেও পারে এই আশায় বসে থাকবেন না, তাতে অসুস্থতা বাড়বে বইকি কমবে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন