Omicron and Re-infection: চারিদিকে করোনা-জয়ী মানুষের সংখ্যা কম নয়। এবং অনেকেই এমন আছেন যারা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়েছেন। বেশ কিছু মানুষ নিজেকে এখনও যথেষ্ট নিয়ম বিধির মধ্যে রেখেছেন আবার অনেকেই মনে করছেন একবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন বলে ভবিষ্যতে আর কোনও সম্ভাবনা নেই ওমিক্রন থেকে আক্রান্ত হওয়ার। যদিও এই ভ্যারিয়েন্ট অন্যান্য গুলির তুলনায় বেশি ক্ষতিকর। সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন থেকে জানানো হয়েছে, অবশ্যই পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছেই।
অনেকেই মনে করেছেন একবার ভাইরাস থেকে সুস্থ হলেই তার শরীরে নানারকম ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শুধু বাড়তেই থাকে, এবং রোগের সঙ্গে সঙ্গে প্লাজমা গঠনের কারণে নাকি একেবারেই সমস্যা থাকে না। যদিও এই তথ্যটি ভুল এবং ভিন্নতা মানবশরীরের থাকবেই, সবার লক্ষণ এবং দৈহিক গঠন এক নয়।
আপনি আগে যদি একবার করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে এটি খুব স্বাভাবিক যে সেই থেকেই রোগের অ্যান্টিবডি আপনার শরীরে তৈরি হয়ে গেছে । ফলে আপনি যেই আবার SARs - COV - 2 এর সংস্পর্শে আসেন তখনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চাগার দিয়ে ওঠে এবং ভাইরাসের আন্দাজ পেতেই নানাধরনের অ্যান্টিবডি প্রেরণ করে একে রোগ থেকে বাঁচাতে পারে। কিন্তু যখনই ভ্যারিয়েন্ট বদলে অন্য মাত্রা ধারণ করে তখনই শারীরিক কোষগুলি একেবারে প্রথম-ধাপেই অ্যান্টিবডি প্রেরণ করতে সক্ষম হয় না। এর জন্য অনেক সময় লাগে, মুহূর্তের মধ্যে অল্প মাত্রায় হলেও আক্রান্তের ঝুঁকি থাকছেই। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে, পূর্বে আক্রান্ত হওয়ার পর নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্যই অ্যান্টিবডি উচ্চমাত্রায় শরীরে বহাল থাকছে, সময় পেরিয়ে গেলেই আবার যে কে সেই। রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর থেকে ৯০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডি সম্পূর্ণ তৈরি হতে পারে এবং কম করে ছয় মাস এটি দেহে স্থায়ী হয়।
ওমিক্রন থেকে আপনার কোনও ভয় নেই, এই ধারণা থাকলে সম্পূর্ণ ভুল করছেন। কারণ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এর ধরন থেকে শারীরিক ক্ষতি করার মাত্রা সম্পূর্ণ ভিন্ন পর্যায়ের। সেই কারণেই যদি এমন হয় যে আপনার শরীরে অ্যান্টিবডি একেবারেই উপস্থিত নেই তবে এর সামান্য সংস্পর্শে এলেই আপনার ক্ষতি। এবং এই ভ্যারিয়েন্ট সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই একেবারেই শরীরকে নিয়ে সুযোগ দেওয়া চলবেই না। বয়সের হেরফেরও একটি আলোচনার বিষয় বটে এবং সেইদিকে বিচার করলে ইমিউনিটি বেশি বয়সের মানুষদের মধ্যে কম থাকে। আসলেই শরীরের প্রয়োজনে তাড়াতাড়িই ফুরিয়ে যায়।
ভ্যাকসিন গ্রহণের পর আদৌ এর থেকে রেহাই সম্ভব?
সম্পূর্ণ ভাবে না হলেও কিঞ্চিৎ সম্ভব। তবে একথা মাথায় রাখতে হবে দুটি ডোজ সম্পূর্ণ করতেই হবে। একটি ডোজ সেইভাবে কাজ করে না। এবং যারা এখনও ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি যেমন শিশুরা তাদেরকে কিন্তু এইসময় অনেক সাবধানে রাখতে হবে। ইতিমধ্যেই সর্দি কাশি জ্বরে অনেকেই ইনফ্লুঞ্জা সংক্রান্ত ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন বটেই তবে ওমিক্রন এর ক্ষেত্রে সেটি কাজ দেবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে, টিকাগ্রহণ কারী ব্যক্তি এবং যারা এখনও টিকা নেননি এমন প্রত্যেকেরই কিন্তু সম্ভাবনা রয়েছে ওমিক্রন দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার। ডেল্টার থেকেও এর ক্ষতি করার মাত্রা একটু বেশি। সম্ভবত যে দেশগুলিতে এর লক্ষণ মিলছে WHO - এর তরফ থেকে সতর্কতা এবং মানুষের সুরক্ষার্তে বার্তা জারি করা হয়েছে। পুরনো অভ্যাস ছেড়ে দিলে একেবারেই চলবে না। সম্পূর্ণ নজেজকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। একজন দুজন থেকে ফের লক্ষ মানুষ যেন আক্রান্ত না হন, সেই দায়িত্ব সকলেরই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন