একথা কারওর অজানা নয়, যে করোনা ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন খুব বেশি মিউটেশন যুক্ত তাই বর্তমান আশঙ্কা কিন্তু চিকিৎসকরা এমনও করছেন যে, নবজাতকদের শরীরেও দেখা দিতে পারে ওমিক্রন। এবং সেটি কিন্তু শিশুদের পক্ষে খুবই ভয়ানক।
চিকিৎসকদের মতে নবজাতকদের হাসপাতাল থেকেই হতে পারে এই সংক্রমণ আবার মায়ের শরীর থেকেও দেখা দিতে পারে। যেটাই হোক ওদের পক্ষে এখনও সম্পূর্ণ বিষয়টির সঙ্গে যুঝে ওঠা সম্ভব নয়। তাই যদি আপনি করোনা আক্রান্ত হন, এবং ছোট্ট সদস্য আপনার বাড়িতে থাকে তবে একেবারেই কোনও সুযোগ নেবেন না, বরং ওদের নিজের থেকে দূরে রাখুন।
চিকিৎসকরা কী বলছেন?
তাদের মতে, একদম ছোট শিশুদের ইমিউনিটি কিন্তু ভীষণ কম। সেটিকে ইম ম্যাচিওর ইমিউনিটি বলা হয়। এই সময় ওরা সহজেই যেকোনও ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এলেই জ্বর, জ্বালা কিংবা পেটের সমস্যা হতেই পারে। সেই জায়গায় ওমিক্রন যথেষ্ট হাই মিউটেশন যুক্ত সেখানে আর কোনও কথাই নেই।
যে বিষয়ে ভীষণ ধ্যান দেওয়া প্রয়োজন তার মধ্যে নিজেদের ভ্যাকসিন যাতে সম্পূর্ণ হয়ে গিয়ে থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে এবং আপনার শিশুর শরীরে প্রয়োজনীয় সবরকম ফ্লু শট কিংবা ভ্যাকসিন সময় মতই দিতে হবে। যদি নিজের শরীরে জ্বর সর্দি কাশি অনুভব করেন তবে বাচ্চার থেকে দূরে থাকাই ভাল।
আপনার থেকে আপনার নবজাতকের হতে পারে এই সমস্যা! যদি জ্বর, সর্দি এবং সবুজ বমি ওদের শরীরে দেখতে পান তবে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে কোনও জমায়েতে না যাওয়াই ভাল। বিশেষ করে এমন ঘরে ওদের রাখার ব্যবস্থা করুন, যেখানে সূর্যের আলো খেলতে পারে। ধুলো বালি থেকে সাবধান। বাচ্চাকে নিজের ইচ্ছেমত ওষুধ খাওয়াবেন না, এতে খারাপ হতে পারে। মায়েদের এখনও পর্যন্ত স্তন্যপান করানোর ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই তারপরেও প্যাকেটজাত দুধের বন্দোবস্ত করে রাখবেন। কারণ পরবর্তীতে উপসর্গ বাড়তে থাকলে বড্ড মুশকিল। তাই এমন কিছুর সম্মুখীন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
যে কাজগুলি একেবারেই করবেন না - তার মধ্যে বাচ্চাকে নিয়ে বাইরে বেরনো যাবে না। বারবার হাত ধুন, ওদের হাত পাতলা কোনও কাপড় দিয়ে মুছিয়ে দিন। জামাকাপড় ডেটল কিংবা স্যাভলন দিয়ে কাচুন। শরীরে বেগতিক বুঝলে মাস্ক পরে থাকুন ওদের চারপাশে। এমনকি এই কিছুদিন বাড়িতেও কাউকে আসতে দেবেন না।