Omicron and Pandemic: দুই বছর অতিক্রান্ত! তবে করোনা মহামারী থেকে যেন একেবারেই রেহাই নেই। সারাদেশে কম করে লক্ষ সংক্রমণ, তার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। তবে ধীরে ধীরে কিন্তু ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে। যা দেখা যাচ্ছে তাতে করে ডেল্টার পরবর্তীতে এটির সংক্রমণের রেশ কিন্তু বাড়তেই পারে।
যদিও বা ওমিক্রন স্বল্প কিংবা মৃদু উপসর্গের সৃষ্টি করছে, তবে এটির থেকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা চার গুণ বেশি, সুতরাং ভয় তো থাকছেই। ফলেই চিকিৎসক মহল বেজায় উদ্বিগ্ন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ডবল ভ্যাকসিন গ্রহণ করেই তারা করোনা সংক্রমিত হচ্ছে। বারবার প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতেই সচেতন করা হচ্ছে মানুষকে।
তবে এখানেই রয়েছে টুইস্ট! বেশ কিছু চিকিৎসকদের মতে ওমিক্রনের অঢেল সংক্রমণ কোভিড ১৯ এর ভয়াবহতা কমিয়ে দিতে পারে এবং সেই কারণেই মহামারীর সময়কাল পার হবে বলেই আশা করছেন তারা, কী বলছেন চিকিৎসকরা?
তাদের মত অনুযায়ী, ওমিক্রন সংক্রমণ থেকেই যে হালকা এবং মৃদু উপসর্গের সৃষ্টি হচ্ছে সেটিতে হাসপাতালে পৌঁছানোর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই, যদি না আপনার আনুসঙ্গিক কোনও রোগ থাকে। তবে এর থেকে যে ইমিউনিটি কিংবা রোগ প্রতিরোধকারী প্লাজমা সেল শরীরে তৈরি হচ্ছে, সেটি থেকে কিন্তু আপনার শরীরেরই লাভ। যদি এমন হয় যে আপনি এর আগেও একবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকা যেতেই পারে যে মারাত্বক প্রভাবের বিরুদ্ধে শরীরের বিভিন্ন স্তরে লড়বার ক্ষমতা গড়ে উঠেছে যেটিকে প্রাকৃতিক অনাক্রমতা বলা যেতে পারে।
বেশ কিছু চিকিৎসকরা এমনও জানিয়েছেন, এটি ভাইরাল ফ্লু এর মত, তবে সুস্থ এবং ফিট ভাইরাস, লোকজনের কোনও বিপদ করে না যদি না আপনি সমানভাবে ডেল্টা দ্বারাও সংক্রমিত হচ্ছেন। বরং আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
তবে বিতর্ক থেকেই যায়, বেশ কিছু চিকিৎসকের বক্তব্য এটিকে আটকানো সম্ভব নয়। এর থেকে ভয়ানক কিছু ঘটতে পারে এবং যথারীতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকেও সেটিই জানানো হয়েছে। যতই বুস্টার দেওয়া হোক না কেন, এর থেকে একবার হলেও সংক্রমণ সম্ভব! তবে চিকিৎসকদের এক নিদারুণ মতামত রয়েছে এর প্রসঙ্গে, তাদের ধারণা যে এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে এত বেশি মাত্রায় ইমিউনিটি শরীরে তৈরি হতে পারে যে সব রোগের শেষ এখানেই হতে পারে।
বিজ্ঞানীরাও এই বিষয়ে কিছুটা হলেও সহমত পোষণ করছেন। তাদের মতে একটি ভাইরাসের সঙ্গে থাকতে থাকতে মানুষের শরীরে তার বিপক্ষে লড়বার জন্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, এবং একটা সময় পর ইনফেকশন থেকেই শরীরে সেফটি মলিকিউল বাড়তে থাকে, তাই প্যান্ডেমিক নয় শেষ হতে থাকে এর হদিশ। সময় মত বুস্টার নিতে হবে, এবং স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে কারণ আপনার পরিবারে যদি এমন কোনও রোগী থাকেন তিনি সুগার অথবা প্রেসারে আক্রান্ত তার কিন্তু ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। যদিও বা বুস্টার আসলেও খুব একটা কার্যকরী নয় বলেই দাবি সকলের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন