Omicron Variant and Health: করোনা ভাইরাসের নতুন প্রকোপ ওমিক্রনের থাবা এখন ভারতবর্ষে। এবং এই নতুন ভাইরাসের জেরে মানবজীবন ভীষণ মাত্রায় আতঙ্কিত। আবার এর প্রভাবে ঠিক কী আসতে চলেছে সেই নিয়েই মানুষ দিনরাত চিন্তায় জর্জরিত। বহুদিন পর দেশজুড়ে স্কুল কলেজ খুলেছে, সঙ্গেই ভ্যাকসিন গ্রহণের পরবর্তীতে জনজীবন একটু হলেও স্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে। তবে এর থেকে যেন রেহাই নেই। ফের নতুন রোগের হানা বিশ্বের অন্যান্য দেশ সহ ভারতে।
চিকিৎসা শাস্ত্র বলছে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অন্যান্য গুলির তুলনায় বেশি ক্ষতিকর। যথারীতি মানুষের মনে উদ্বেগের মাত্রা ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। চিকিৎসক নেহা দত্ত ( মনস্তত্ত্ব বিদ, ধর্মশালা নারায়ানা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল) বলেন একেতেই বছর দুয়েক ধরে দেশের আর্থিক অবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, শিক্ষা থেকে শুরু করে সবকিছুই ভীষণ খারাপ দিক দিয়ে গেছে, তার পরেই ফের এমন এক বিষয়ের সূত্রপাত আরও ক্ষতি করবে সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তাই সেইদিক থেকে নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখা মানুষের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয়।
শুধু শরীর নয়, মানসিক ভাবে নিজেকে এর থেকে সুস্থ রাখা দরকার। খারাপ ভাবনা চিন্তা মাথায় আসা এই সময় খুব স্বাভাবিক বিষয়। নেহা বলেন, এই সময় নিজেকে ভীষণ কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখা দরকারি। তবেই আপনি মনের দিক থেকে সবল থাকবেন। যত ফাঁকা থাকবেন ততই আজগুবি চিন্তা ভাবনা আসতে বাধ্য। যেমন নিজের ভাল লাগে, যে কাজ করতে ইচ্ছে করে সেটিই করুন। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পারেন।
আরেকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাহুল রাই কক্কর বলেন, নতুন করে আবার এসবের সূত্রপাত মানুষকে খুবই অসহায় করে তুলেছে। সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের ব্যবহারে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। এবং এটি খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। যেন এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফের ঢুকে পড়ছে মানুষ। এমন অবস্থায় নিজেকে কী করে ভাল রাখা যায়, সেই বিষয়েই ধারণা দিয়েছেন রাহুল। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার সঙ্গে সঙ্গেই, হাত পা বারবার ধোয়া, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার অবশ্যই ব্যাবহার বজায় রাখতে হবে, এছাড়াও -
প্রথম ঘুমের দিকে বেশ নজর দিতে হবে! যেমন :নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা। দিনের বেলায় ঘুম থেকে বিরত থাকা, বিকেল পাঁচটার পর ক্যাফেইন গ্রহণ না করা, ঘুমাতে যাওয়ার পর ফোন বন্ধ রাখা, এবং শোয়ার বেশকিছুক্ষণ আগে থেকেই ফোন দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।
সময়ের সঙ্গে নিজেকে পাল্লা দিয়ে রাখতে হবে। সারাদিনে কি রয়েছে সেগুলি সময়মত করা, কাজের সময়সীমা নিজের মত করেই তৈরি করে নেওয়া, কাজকে গুরুত্ব দিয়ে সম্পন্ন করা, কাজের মাঝে স্বল্প সময় বিরতি নেওয়া।
অন্যের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার মনে এবং শরীরে কি অস্বস্তি হচ্ছে সেই নিয়ে অন্য ব্যক্তিকে জানান। সমস্যা ভাগ করে নিলে সেটি অর্ধেক কমে যায়।
যখন মানসিক ভাবে চাপে থাকেন তখন সোজাসুজি নয়, নিজেকে বিপরীত গণনার সঙ্গে মিলিয়ে দিন। ,২০-১০ উল্টোদিকে গুণতে থাকুন। নিজের বিভ্রান্তি এবং দুর্বলতা কীভাবে কমাবেন সেটি আপনাকেই দেখতে হবে।
প্রতিদিন নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ব্যায়াম করা অভ্যাস করুন। এটি হ্যাপি হরমোন ক্ষরণ করতে সাহায্য করে।
বেশি এসব ধরনের সংবাদ শোনা এবং পড়া থেকে দূরে থাকুন। যত বেশি জানবেন তত বেশি আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তাই এসব খবর না জেনে নিজেকে সুস্থ রাখাই ভাল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন