Omicron And Spreading: ভাইরাস নিয়ে চারিদিকে গুঞ্জন এবং সমস্যার শেষ নেই। তারসঙ্গে ক্রমশই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এবং উদ্বেগও ঊর্ধ্বমুখী। এই প্রসঙ্গেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিন্তাও ক্রমশ বাড়ছে, কারণ নেই নেই করে ৭৭ টি দেশে মিলেছে ওমিক্রনের হদিশ। তাদের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে এই হারে অমিক্রন ছড়িয়ে পড়তে পারে সেটিও ভাবনার অতীত।
আতঙ্কের পরিভাষা কেমন থাকছে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদিও বা ভাইরাসের সংক্রমণের এটি প্রথম ধাপ তারপরেও যেহেতু অত্যধিক মিউটেশন যুক্ত এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট তাই ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকছেই এই বিষয়ে সন্দেহ নেই। এবং সন্দেহ এমনও করা হচ্ছে যাতে করে, এটি ডেল্টার সংক্রমণকে ছাড়িয়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ আধিকারিক টেদ্রস অধানম ঘব্রেয়েসাস জানিয়েছেন, প্রচুর দেশে এটির খোঁজ মিলেছে তবে সেইভাবে এখনও ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে না। তাই এটি বেশ আশ্চর্যের বিষয় এমন হারে, কোনও ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরেনি।
লক্ষণ নিয়েও বেজায় মুশকিল মানুষজন! কারণ সঠিক কোনও তথ্য থাকছে না যে কী ধরনের সমস্যা মানুষ অনুভব করছেন। না থাকছে জ্বর, না থাকছে স্বাদ এবং গন্ধের সমস্যা - বরং গলা চুলকানির অনুভূতি খুবই কম থাকছে। অনেকেই সেইকারণে মনে করছেন এটি নিয়ে একেবারেই ভয় থাকছে না, যদিও বা সেটি সত্যি নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বারবার উপদেশ দেওয়া হয়েছে, এই ভ্যারিয়েন্টটিকে একেবারেই হালকা চালে না নেওয়ার জন্য। কারণ সাইলেন্ট কিলার বলে যদি কিছু হয়, তবে এটি সেই তকমা পেতে পারে। আপনি বুঝতেও পারেবন না, তার আগেই ক্ষতি হয়ে যাবে।
সামনেই নতুন বছর, কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন নিজেকে?
একটি বছরের শেষ, এবং নতুন বছরের শুরু! যদিও বা ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে তারপরেও অনেকেই নিয়ম ভেঙেই এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মুখে মাস্ক নেই, নয়তো বা পুরনো অভ্যাস ভুলে স্যানিটাইজার ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেক পূর্বে কোভিড আক্রান্ত রোগীরা এই ধারণা নিয়েই বসে আছেন যে তাদের আর ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ হতে পারে না, এই ধারণা অবধারিত বদলানো উচিত। ছুটির দিন মানেই নিজেকে রোগের কবলে ফেলবেন না। নিজেকে যদি সতর্ক না করেন তবে এর থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু হতে পারে।
বিশেষজ্ঞের মতামত ঠিক কী, নিজেকে সুস্থ রাখার বিষয়ে?
এর প্রথমধাপে সহজেই বোঝা যাচ্ছে না ঠিক কীভাবে এটি মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। আদৌ এর থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণ সম্ভব কেন, সেটা বোঝা সম্ভব নয়। এমনকি ভারতের বুকে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে সেটিও সহজে কাজ করবে না ওমিক্রনের বিপরীতে - এমনটাই জানা গিয়েছে। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের প্রজাতির ক্ষেত্রে কোনোকিছুই সঠিক করে বলা সম্ভব নয়। তাই কেমন সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে?
অবশ্যই দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে। যতটা সম্ভব ততদুর থাকুন। ট্রেনে বাসে দরকার ছাড়া না চাপাই ভাল।
অনুষ্ঠান, যেখানে মানুষজন একত্র হতে পারে, সেইসব জায়গা এড়িয়েই চলুন। একান্তই সুযোগ না থাকলে নিজেকে সতর্ক রাখুন, মাস্ক পরে থাকুন। বারে বারে হাত স্যানিটাইজার দিয়ে ধুয়ে নিন। বাড়ি ফিরে এসে গরম জল দিয়ে হাত পা ধোয়ার অভ্যাস করুন।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বারবার ওদের হাইজিন থাকতে বলুন। গরম জল খাওয়ান। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া শুরু হলেই সেইদিকে নজর দিন। আর বড়দের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের দিকে নজর দিন, বুস্টার ডোজ শুরু হলেই সেটি গ্রহণ করুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন