OMICRON AND BREATHING PROBLEM: করোনা ভাইরাসের যেকোনও ভ্যারিয়েন্ট মানেই তার থেকে শেষে একটিই উপসর্গ, শ্বাসকষ্ট এবং অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়া। বিশেষ করে চিকিৎসকরা প্রথম থেকেই বলে এসেছেন যে, ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথমেই গলায় এবং নাকে হয়, সেখান থেকেই ফুসফুসে আঘাত করলেই যত সমস্যার সূত্রপাত। বেশ কিছুদিন ধরেই ওমিক্রন বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এবং শ্বাসকষ্টের এই সমস্যা কে ভয় পান বেশিরভাগ মানুষ। সুতরাং এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকদের মতামত জানা প্রয়োজন।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
AIIMS এর চিকিৎসকদের মতামত, একেবারেই ওমিক্রন থেকে শ্বাসকষ্টের কোনও সুযোগ নেই। যতই স্পাইক প্রোটিন সম্পর্কিত হোক না কেন, এবং মিউটেশনের মাত্রা বেশি হলেও এর থেকে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হওয়ার কথা নেই। তারা বলেন করোনা ভাইরাসের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট গুলি নাকের মাধ্যমেই শেষ পর্যায়ে ফুসফুসকে গিয়ে আঘাত করে। ফুসফুসে প্রবেশ করে অ্যালিভিওলাস এবং কোষের পাতলা প্রাচীর গুলিকে ধ্বংস করতে পারে। প্লাজমা প্রোটিন গুলি ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে হতেই লোহিত রক্ত কণিকার সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে শ্বাসকষ্টের সূত্রপাত ঘটায়।
কেন এর থেকে শ্বাসকষ্ট সম্ভব নয়?
AIIMS এর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট ফুসফুসে বৃদ্ধি পায়। তবে ওমিক্রন গলায় বৃদ্ধি পায়। মূল ভ্যারিয়েন্ট থেকে এই ভাইরাস একেবারে আলাদা, তাই যথাযথ ভাবে একে এখনই পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। যেহেতু এটি নাসারন্ধ্র দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে, তাই ফুসফুসের দিকে ওমিক্রন মাত্রা বৃদ্ধি করে না। দক্ষিণ আফ্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, গলা চুলকানি কিংবা খুসখুস এই কারণেই অন্যতম লক্ষণ - এবং ফুসফুসে এটি সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম নয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভাইরাস কীভাবে বৃদ্ধি পায় সেই নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা প্রয়োজন। এবং গবেষণায় দেখা গেছে যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার তুলনায় বিকল্প, এবং এর উপসর্গ গুলিও হালকা। যদিও বা ডেল্টার তুলনায় এর সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি। এমনকি তারা এও জানিয়েছেন, গলায় যেহেতু এটি বহুমাত্রায় বৃদ্ধি পায় সেই কারণেই জ্বর জ্বালা কিংবা নিউমোনিয়া সম্পর্কিত কোনও লক্ষণ এর থেকে হতে পারে না। এবং এর থেকে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক কম। তারপরও যারা শ্বাসযন্ত্রের রোগে ভুগছে অথবা হাঁপানি রোগী তাদের কিন্তু সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বারবার গরম জল খাওয়া দরকার, মধু আদা মেশানো জল খাওয়া খুব দরকারী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন