শীতকালে এমনিই ঠান্ডার জন্য বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। মনে হয়, আরও কিছুক্ষণ কম্বল অথবা বালাপোস অথবা লেপের তলায় থেকে যাই। তারপর সেসব ছেড়ে বেরোলেও কাজে তেমন একটা জুত পাওয়া যায় না। আপনারও কি এমনটা মনে হয়? তবে, জেনে রাখুন এসব সমস্যা কাটানোর কিন্তু, উপায় আছে। আর, তা বিনা ওষুধেই। কারণ, আমাদের সকলকেই কমবেশি কাজকর্ম করতে হয়। আর, এজন্য সময় দরকার। দীর্ঘক্ষণ বিছানায় থাকলে আমাদের কাজ কে-ই বা করে দেবে!
এই পরিস্থিতি খুব ভালোভাবে সামলানোর উপায় আছে তাই চি তে। তাই চি হল একটা শারীরিক কসরতের আর্ট। বিশেষ করে বয়স্ক এবং যাঁদের শারীরিক এবং নানা সমস্যা থাকে, তাঁদের জন্য ভীষণ উপকারি। চিনে বয়স্করা এই তাই চি ব্যবহার করে নিজেদের সুস্থ রাখার চেষ্টা করেন। এতে খুব দ্রুত ফল মেলে। আর, তেমন সেভাবে পরিশ্রমও করতে হয় না। এক্ষেত্রেও শরীরকে মাত্র এক মিনিটে ঝরঝরে করে ফেলতে আপনাকে কী করতে হবে, জেনে নিন।
তেমন একটা কিছুই না। আপনি তো প্রতিদিনই কমবেশি হাঁটাচলা করেন। তেমনই হাঁটাচলার মত করবেন। তবে, একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। হাতটা শুধু সামনে আর পিছনে বেশি করে নাড়াবেন। যেমনটা হাঁটার সময় আপনি হাত নাড়িয়ে থাকেন, তেমনভাবেই। আর, হাঁটুতে যাতে চাপ না-পড়ে, সেজন্য একটু ঝুঁকে এই হাতটা নাড়াবেন। ঠিক কী করতে হবে আপনাকে, বরং নীচের ভিডিওয় বা ভিডিওর লিংকে একবার ক্লিক করে দেখে নিন।
আরও পড়ুন- মাঝবয়সেই হাঁটু-কোমর ব্যথায় প্রাণ ওষ্ঠাগত? যন্ত্রণা-মুক্তির উপায় বললেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
মাত্র ১০ বার করুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন কী উপকার পাচ্ছেন। একবার করতে আপনার এক সেকেন্ড লাগবে। এইবারে একমিনিটে আপনি ৬০বার এভাবে হাত নাড়াতে পারবেন। আর, সেটা পারলেই আপনাকে আর দেখে কে! সারা দিনটা শরীর একেবারে ঝরঝরে হয়ে যাবে। আর, প্রতিদিন যদি করেন, নিজেই বুঝতে পারবেন, ঠিক কতখানি উপকার পাচ্ছেন। তখন অন্য কাউকেও শিখিয়ে দিতে পারবেন, এই কৌশল।