কলকাতা শহরে শীত বলতেই কমলালেবু, ব্যাডমিন্টন, ময়দান-ভিক্টোরিয়ায় উপচে পড়া ভিড়ের মতোই শহরের সঙ্গে মিশে গিয়েছে শীতকালীন ম্যারাথন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর মহানগরে আয়োজন করা হয়েছে টাটা স্টিল ২৫ কিলোমিটার ম্যারাথনের। আপনি অংশ গ্রহণ করছেন তো? খুব ভাল কথা, কিন্তু ম্যারাথনে দৌড়নোর আগে কিছু সতর্কতা নিতে হবে তো! আনন্দপুর ফরটিস হাসপাতালের আপতকালীন পরিষেবার দায়িত্বে থাকা ডঃ সংযুক্তা দত্ত কিছু টিপস দিলেন। জেনে নেওয়া যাক কী কী সাবধানতা নেবেন
১) ম্যারাথনের আগের রাতে ভালো ঘুম খুব দরকার। তবে রবিবার সকাল ৬ টা থেকে ম্যারাথন শুরু, তাই শনিবার রাতে খুব গভীর ঘুম না হওয়াই স্বাভাবিক। তাই শুক্রবার রাতের ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ।
২) ম্যারাথন দৌড়ের আগের রাতে বেশি খাবেন না, তবে কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার খাবেন।
আরও পড়ুন, শরীর চাঙ্গা রাখতে সিঁড়ি ভাঙুন নিয়মিত
৩) সকাল বেলা হালকা কিছু খেয়ে সময় থাকতে সঠিক স্থানে পৌঁছন
৪) অন্যদের দেখে জোরে দৌড়নোর চেষ্টা করবেন না, নিজের গতিতে দৌড়ন।
৫) দৌড়ের আগে ওয়র্ম আপ খুব জরুরি। ওয়র্ম আপের প্রথম পাঁচ মিনিট খুব ধীর গতিতে শরীরচর্চা করুন।
৬) হঠাৎ করে থামবেন না, আস্তে আস্তে গতি কমান।
৭) ম্যারাথন চলাকালীন একটু পর পর জল অথবা জল জাতীয় পানীয় পান করুন। মিনিট ২০ অন্তর অন্তর ২০০ থেকে ২৫০ এমএল পানীয় পান করুন।
আরও পড়ুন, হাড় ক্ষয়ে যাচ্ছে? শরীরে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ করুন এই উপায়ে
৮) বুকে ব্যথা, নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা, গা গুলোনো ইত্যাদি হলে সঙ্গে সঙ্গে দৌড়নো বন্ধ করুন। মনে রাখবেন, আপনার শরীর সবচেয়ে আগে। তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নয়।
৯) ম্যারাথনের সময় আপনার পোশাক, খাবার, পানীয়, জুতো, ওয়র্ম আপ, কিছু নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষায় যাবেন না।
১০) দৌড়নর সময় আপনার সঙ্গে কিছু দরকারি যোগাযোগের নম্বর লেখা কাগজ রাখুন, যাতে দরকার পড়লে আপনার পরিবার পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।
আরও পড়ুন, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝুন
চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক আনন্দপুর ফরটিস হাসপাতালের ফুট অ্যান্ড অ্যাঙ্কল সার্জন ডঃ অশ্বিন চৌধুরীর পরামর্শে
১) ম্যারাথনের বেশ কিছুদিন আগে জুতো কিনে ফেলে অভ্যস্ত হোন, তাহলে দৌড়নোর সময় আর অসুবিধে হবে না।
২) জুতো বিকেলের আগে কিনবেন না, এই সময়েই পা সবচেয়ে বেশি ফোলা থাকে
৩) মোজা ভালো পরুন, ফোস্কা পড়ার পেছনে অন্যতম কারণ কিন্তু ভুল মোজা পরা। সুতির মোজা জল শুষে নেয়, এগুলো না পরে পশমের মোজা পরে দৌড়নোই সবচেয়ে ভালো।