Never-ending heatwave: তাপপ্রবাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। এতে শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। শরীরে জলের অভাব দেখা যাচ্ছে। ত্বকের ক্ষতির অভিযোগ করছেন অনেকেই। কিন্তু, এসব ব্যাপারে তো ইতিমধ্যেই সচেতনতা তৈরি হয়েছে। তবে অনেকেই কিন্তু এটা জানেন না যে তীব্র তাপপ্রবাহে চোখেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। আর, সেই কারণে তীব্র তাপপ্রবাহের সময় অনেকে সঙ্গে জল রাখেন। সানস্ক্রিনের মলম ত্বকে মাখেন। কিন্তু, রোদের থেকে চোখকে বাঁচানোর জন্য তেমন কোনও আলাদা ব্যবস্থা করেন না।
ব্যাপক ক্ষতি
প্রশ্ন হল, আমরা তাপপ্রবাহ চলছে কি না, বুঝব কীভাবে? আসলে, প্রচণ্ড তাপমাত্রা এবং অত্যন্ত রোদ- এই দুটো একসঙ্গে থাকলেই বুঝবেন যে তাপপ্রবাহ চলছে। সেই সময় গরমের চোট এমন থাকে যে লোকে এমনিই এসির খোঁজ করেন। ঠান্ডা জল চান। গায়ে সানস্ক্রিন মাখেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে এই সব ব্যাপারে আমরা সচেতন হয়ে উঠি। তাই নানা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। কিন্তু, শরীরের একটা বিশেষ অঙ্গ তীব্র তাপপ্রবাহে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই অঙ্গের ব্যাপারে আমরা কোনও খেয়ালই রাখি না। সেই অঙ্গ হল চোখ।
বিশেষজ্ঞের বক্তব্য
এই ব্যাপারে শার্প সাইট আই হাসপাতালের প্রবীণ চিকিৎসক ডা. পুনীত জৈন জানিয়েছেন, এই সময় চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। চোখে অস্বস্তি অনুভব হয়। চোখ চুলকায়। এমন নানা সমস্যা দেখা দেয়। তিনি জানান, এই সময় তীব্র তাপের জন্য চোখের জল তৈরিতে সমস্যা দেখা দেয়। তার ফলে চোখ শুকনো হয়ে যায়। শুকনো চোখে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ে। চোখের ওপর চাপ বাড়ে। তা থেকে বাঁচতে অনেকেই এই সময় সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন। কিন্তু, তাতে সমস্যা বাড়ে বই কমে না। সমস্যা বলতে, জলে থাকা ক্লোরিনের মত রাসায়নিক জন্য চোখ চুলকানো বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন- নেপালেও এবার নিষিদ্ধ Everest-MDH মশলা! আপনি কি এখনও খাচ্ছেন?
কী করা উচিত?
ক) চোখে যাতে সূর্যের আলো না পড়ে সেজন্য সানগ্লাস পরা উচিত। খ) চোখ যাতে শুকিয়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। গ) প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, 'আই ড্রপ' ব্যবহার করতে পারেন। ঘ) যখন সূর্যের আলো বেশি থাকে, রাস্তায় বের হওয়ার ক্ষেত্রে সেই সময়টাকে এড়ানো উচিত। ঙ) ঘরের ভিতরে যাতে জলীয় ভাব থাকে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এজন্য ঘরপোছার দিকেও নজর দেওয়া দরকার। চ) নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।