১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ভারতীয় মহিলাদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে এক নম্বরে রয়েছে আত্মহত্যা। সারা বিশ্বে যত মহিলা আত্মহত্যা করেন, সেই সংখ্যার এক চতুর্থাংশই ভারতীয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই ভয়াবহ তথ্য।
সমীক্ষার ফলাফল বলছে, সারা বিশ্বে মহিলাদের আত্মহত্যার হারের তুলনায় ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেকটাই বেশি। সারা পৃথিবীর সোশাল ডেমোগ্রাফিক ইন্ডেক্স বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় মহিলাদের আত্মহত্যার প্রবণতা অপ্রত্যাশিত রকম বেশি। সমীক্ষার আয়োজকরা বলছেন, ভারতে পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে আত্মহত্যার প্রবণতা কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন, একাকিত্বে ভুগছেন? গলদ কিন্তু রাতের ঘুমেই!
মহিলা আত্মহত্যার সংখ্যায় দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে তামিলনাড়ু। তালিকায় পর পর রয়েছে কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা। ২০১৬-র হিসেব বলছে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া ভারতীয় মহিলাদের অধিকাংশের বয়স ছিল ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। ওই বছর সারা পৃথিবীতে ১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহননকারীর ৭১.২ শতাংশ মহিলা এবং ৫৭.৭ শতাংশ পুরুষ ভারতীয়।
আইসিএমআর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "ভারতে মহিলাদের আত্মহত্যার প্রবণতা ভয়ঙ্কর রকম বেশি হওয়ায় চিন্তার কারণ তো রয়েইছে। ১৯৯০ থেকে ২০১৬, এই সময়ের হিসেবের ভিত্তিতে যে পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে, তা ভয় পাওয়ার মতই। অল্পবয়সী মহিলাদের জীবন শেষ করে ফেলার প্রবণতা বেশি, এই প্রবণতা কমানোর জন্য সবার সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসা দরকার।"
বিশ্বের নিরিখে ভারতীয় মহিলাদের আত্মহত্যার হার ১৯৯০-তে ছিল ২৫.৩ শতাংশ। ২০১৬-তে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬.৬ শতাংশে। পুরুষদের ক্ষেত্রে ২৬ বছরে ১৮.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৬-তে হয়েছে ২৪.৩ শতাংশ। এইভাবে চলতে থাকলে ২০৩০-এ সংখ্যাটা কোথায় দাঁড়াবে, সেটা ভেবেই আতঙ্কিত হচ্ছেন সমীক্ষার আয়োজকরা।