Advertisment

পরিবেশ সুস্থ রাখতে ইকোপার্কে জন্ম নিল 'রিসাইকেল কর্নার'

সোমবার বাদ দিয়ে প্রতিদিন দুপুর ২.৩০ থেকে সন্ধে ৮.৩০ অবধি খোলা থাকবে এনকেডিএ'র কর্নার। পেয়ে যাবেন খুবই কম দামের পোশাক থেকে শুরু করে রকমারি জিনিস। মোটামুটি ৩০ টাকা থেকে শুরু পোশাকের দাম।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিক্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখলেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশীষ সেন

সপ্তাহের শেষে ইকোপার্ক যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন? তাহলে ইকোপার্ক সম্পর্কে আপনার জানা দরকার নতুন তথ্য। বাসে করে নামবেন ইকোপার্কের ৪ নম্বর গেটে। ঢুকতেই বাঁদিকে চোখে পড়বে 'এনকেডিএ কর্নার অফ রিসাইকেলড গুডস'। যেখানে পেয়ে যাবেন খুবই কম দামের পোশাক থেকে শুরু করে রকমারি জিনিস। মোটামুটি ৩০ টাকা থেকে শুরু পোশাকের দাম।

Advertisment

ব্যবহার করা জিনিসকে রাসায়নিক পদ্ধতিতে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে, তাকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন সংস্থা। ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে শুরু করে পুরোনো পোশাক-আশাক, সব জিনিসই রয়েছে এই তালিকায়।

আরও পড়ুন: দৈনন্দিনতা থেকে মায়েদের মুক্তি দিতে স্পেশাল ট্যুর প্রোগ্রাম

publive-image ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে শুরু করে পুরোনো পোশাক-আশাক, সব জিনিসই রয়েছে বিক্রির তালিকায়

কলকাতা সোসইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ এনকেডিএ'র কর্নারে শুরু করেছে 'আবর্তনী' শীর্ষক এই প্রোজেক্ট। গত বছর থেকেই চলছে তাদের পুনর্নবীকরণের কাজ। ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে শৈল্পিক ভাবধারার সাহায্যে তৈরি করে চলেছে একের পর এক জিনিস। যে সব জিনিসের দাম নামমাত্র। কলকাতা সোসইটি ফর কালচারাল হেরিটেজের সদস্য সৌরভ মুখার্জি বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য রিসাইকেল করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। বেশিরভাগ পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, পুরুলিয়া এবং সুন্দরবনের গ্রামের শিল্পীদের হাতে তৈরি হচ্ছে প্রতিটি জিনিস।"

publive-image বেশিরভাগ পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, পুরুলিয়া এবং সুন্দরবনের গ্রামের শিল্পীদের হাতে তৈরি হচ্ছে প্রতিটি জিনিস।

সোমবার বাদ দিয়ে প্রতিদিন দুপুর ২.৩০ থেকে সন্ধে ৮.৩০ অবধি খোলা থাকবে এনকেডিএ'র কর্নারের সমস্ত দোকান। খবরের কাগজ থেকে শুরু করে, কাচ, প্লাস্টিকের বোতল, কাপ এবং কিছু মেটালের সঙ্গে মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিটি জিনিস।

publive-image ফেলে দেওয়া কাগজের তৈরি দুর্গা প্রতিমা

এই দূর্গা প্রতিমা বানিয়েছেন শিল্পী কাকলি চট্টোপাধ্যায়। সম্পূর্ণটাই তৈরি করা হয়েছে ফেলে দেওয়া খবর কাগজ দিয়ে। সৌরভবাবু জানিয়েছেন "পুনর্নবীকরণ নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন সংস্থার ভাবনায় ছিল, আমরা যার বাস্তবায়ন করেছি।"

ফ্যাশনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ নতুন জামাকাপড় কেনেন, কিন্তু পুরোনো জামাকাপড় ফেলে দেন। সেই জামাকাপড়কে ভালো করে ধুয়ে পালিশ করে পুনরায় কেনার উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। যার মূল্য হিসাবে শুধু ধোয়ার খরচই নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশীষ সেন। তিনি জঞ্জাল না ফেলার পরামর্শও দিয়েছেন। তাঁর কথায়, "ফেলে দেওয়া জিনিসগুলোকে রিসাইকেল করে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তোলা সম্ভব, এতে পরিবেশ সুস্থ থাকে। মূলত মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন সংস্থা।"

Advertisment