মাঠে বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছেন, এদিকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিন্দুমাত্র হেলদি থাকার ইচ্ছে নেই? এর আগেও ২০১৯ এর বিশ্বকাপের সময় পাকিস্তানি ক্রিকেটপ্রেমীদের রোষানলে পড়েছিলেন তারা। পিজ্জা, বার্গার আইস্ক্রিম.. খানাপিনায় খামতি রাখেন না।
Advertisment
এবার ভারতে আসার পর থেকেই বিরিয়ানি, কেবাবে মজেছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়। দেশের নানা প্রান্তের সেরা সেরা জায়গায় খাবার খাচ্ছেন তারা। পাকিস্তানের দিজ্ঞজ ক্রিকেটারদের আফসোসের শেষ নেই। আফগানিস্থানের সঙ্গে পরাজয়ের পর থেকেই আরও জোরালো আলোচনা। এমনকি, ওয়াসিম আক্রম সেদিন দলের সদস্যদের ফিটনেস নিয়েও তুলোধোনা সুরে বলেন, ওরা যেন কিলো কিলো মাংস খাচ্ছে রোজ।
কলকাতায় খেলার সূত্রে এসেও ব্যতিক্রম হয়নি। এমনিই এই শহরের মানুষ খেতে ভালবাসে। রান্নায় টুইস্ট দিতে ভালবাসে। কলকাতায় খাবার বলতেই সকলের মনে ভেসে ওঠে আলু দেওয়া বিরিয়ানি। তাই, এই রাজ্যে এসে বিরিয়ানি খাওয়া হবে না সেটাও হয়? কলকাতার শ্রেষ্ঠ বিরিয়ানি হাউসের মধ্যে থেকেই একটিতে তাঁরা অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করেন। জ্যাম জ্যাম রেস্তোরা। কলকাতার বেশ নামি একটি বিরিয়ানি হাউস। যেখানে খাবারের স্বাদ যেমন ভাল তেমনই পকেট একটু হালকা থাকলেও অসুবিধা নেই। সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছে হলে এই জায়গা একদম পারফেক্ট।
পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের তরফে এই অর্ডার অনলাইনে পৌঁছলেও রেস্তোরার কেউই জানতেন না কারা এই অর্ডার পাঠিয়েছেন। পরে যেই মুহূর্তে জানাজানি হয়, তখনই যেন আহ্লাদে আটখানা হোটেল কর্তৃপক্ষ। মুখে হাসি খেলে গেল তাঁদের। এ এনআই এর কাছে রেস্তোরার ডিরেক্টর জানিয়েছেন...
"আমরা জানতাম না, ওটা পাকিস্তানের তরফে এসেছে। বিরিয়ানি, কেবাব এবং চাপ - এই তিনটি ডিস অর্ডার করা হয়েছিল। অর্ডারটা অনলাইন মারফত এসেছিল বলে বুঝতে পারিনি। আমি আশা করব, উনাদের খাবার ভাল লেগেছে। সারা বিশ্বের মানুষ আমাদের এখানে আসুক, খাবার চেখে দেখুন এটাই চাই। কলকাতার বিরিয়ানির জন্য আলাদাই ভালবাসা আছে। এর টেস্ট একদম ভিন্ন এই রাজ্যে। বিশ্বের দরবারে এটি প্রসিদ্ধ।"