সকাল থেকেই বলিউড জুড়ে শোকের ছায়া। যদিও বা কথায় বলে গুণী মানুষের কোনওদিন মৃত্যু হয় না। মিলিয়ে যায় তার শরীর তবে সঙ্গে থেকে যায়, হাজারো সৃষ্টির ছন্দ। কত্থক সম্রাট পণ্ডিত বিরজু মহারাজ ( Pt. Birju Maharaj ) পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। দ্বিতীয় প্রহর নামতেই খবর আসে ঘুঙুরের ছন্দ আজ মিলিয়ে গেছে, তাকে আর দেখা যাবে না মঞ্চে তালে এবং নৃত্যে।
Advertisment
কিংবদন্তি এই শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বহু মানুষ। তার শিষ্য এবং অনুরাগীরা তো বটেই। দেশের নেতা নেত্রীরাও রয়েছেন সেই দলে। নাতি স্বরাংশ প্রথম জানান, তার ঠাকুরদাদা আর নেই। তিনি দুঃখের সঙ্গেই এই খবর সকলের সামনে আনেন- লেখেন, আমাদের পরিবারের সবথেকে প্রিয় এবং কাছের সদস্য পণ্ডিত বিরজু মহারাজের অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকস্তব্ধ! তার স্বর্গীয় পথে প্রার্থনা করবেন।'
এরপরেই একে একে সকলেই শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ টুইট করে লেখেন, পণ্ডিত বিরজু মহারাজের প্রয়াণে যেন এক যুগ শেষ হল। গভীরভাবে শোকস্তব্ধ! তার চলে যাওয়ায় সংস্কৃতি পরিসরের সর্বত্রই যেন গভীর ফাঁক সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের জন্য সমবেদনা এবং তার জন্য অশেষ প্রার্থনা।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার বক্তব্য, এমন একজন সৃষ্টিশীল মানুষ যার দৌলতে ভারতের কত্থক বিদেশের মাটিতে পরিচিতি লাভ করেছে, তার অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ। এমন মানুষ এর চলে যাওয়া সম্পূর্ণ কলা জগতের ক্ষতি।
রাহুল গান্ধী বলছেন, হঠাৎ করে খারাপ খবর পেলাম। আপনার শিল্পকলা মনে থাকবে। অপূরণীয় ক্ষতি! আপনার প্রতি ছন্দের সঙ্গে কারওর তুলনা হয় না।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলছেন, এমন সৃষ্টিসুলোভ মানুষ খুব কম হন। আপনিই সেই মানুষ যার হাত ধরে লখনৌ ঘরানার কত্থক প্রকাশ পেয়েছে। এই ক্ষতি সামলানো যাবে না। পরিবারের সবাইকে সমবেদনা।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিথারামন শোক জ্ঞাপন করেই বলেন, ভারতবর্ষ আজকে এক কিংবদন্তিকে হারাল। তার প্রশংসা পাহাড় সম, তুলনাহীন।
শোকস্তব্ধ সচিন তেন্ডুলকর বলছেন, তার নৃত্যকলার মধ্যে দিয়েই তিনি বেঁচে থাকবেন। আকস্মিক মৃত্যুতে স্তম্ভিত। কতজন তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন, ওপারে ভাল থাকবেন।
শেষ নেই! এমন গুণী একজন মানুষকে কাছ থেকে যারা দেখেছেন তারাই জানেন, সত্যিই যেন শিল্পে ইন্দ্রপতন।