পিসিওএস বর্তমান সময়ে মেয়েদের শরীরে খুব স্বাভাবিক বিষয়। এবং এই নিয়ে এখন বেশি চিন্তা করার কোনও দরকার নেই, চিকিৎসা পদ্ধতি হোক কিংবা আয়ুর্বেদিক পন্থা একে নিশ্চিহ্ন করতে পারে। তবে শারীরিক কিছু অভ্যাস কিন্তু অবশ্যই এক্ষেত্রে বদলানো দরকার। কিংবা নতুন করে গ্রহণ করা দরকার, তাহলে সম্পূর্ণ বিষয়টি খুব সহজ হয়ে ওঠে। ধারণা দিচ্ছেন চিকিৎসক ঐশ্বর্য সন্তোষ।
Advertisment
তিনি বলছেন, ওষুধ পথ্য মানসিক সুস্থতা এবং বাকি সবকিছুর সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু নিজের প্রতিদিনের রুটিনে বদল আনা খুব জরুরি। কারণ এটির থেকেই অর্ধেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। সেগুলি কী কী?
প্রথম, সকাল বেলা বেশি দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে চলবে না। বরং ভোরের দিকে উঠে সূর্জনমস্কার অভ্যাস করতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রতিদিন এটি করতে হবে। তবে মানসিক এবং শারীরিক দুইভাবেই শান্তি।
দ্বিতীয়, ঘুমের সময় কিংবা চক্রকে সহজ করে তুলতে হবে। অর্থাৎ, সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা এগুলি নজরে রাখতে হবে।
তৃতীয়, খাবার সঠিক সময়ে খেতে হবে। সকালের জলখাবার থেকে রাত্রের খাবারের সময়ের হেরফের হলে চলবে না।
চতুর্থ, প্রতিদিন নিয়ম মেনে অল্প সময় হলেও ব্যায়াম কিংবা শরীরচর্চা করতেই হবে। যেটি করতে ভাল লাগে কিংবা শরীরে কষ্ট না হয় সেটি করতেই হবে।
পঞ্চম, সঠিক পরিমাণে জল খেতে হবে। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে। শরীরের প্রদাহ যেন বেড়ে না যায়।
ষষ্ঠ, দশ মিনিটের জন্য হলেও মেডিটেশন করতেই হবে। এই রোগের আসল বিষয়টিই হল একেবারেই চিন্তা ভাবনা করলে চলবে না।
সপ্তম, বাড়ির খাবার খেতে হবে। বাইরের জাঙ্ক ফুড কিংবা প্যাকেটজাত খাবার একেবারেই নয়।
অষ্টম, যতই যাই হোক সকলের জলখাবার ফাঁকি দিকে চলবে না। পাকস্থলীর আস্তরণ অনেকভাবে আপনার শরীরকে সাহায্য করতে পারে।
নবম, রাতের খাবার যেন একেবারেই বেশি ভারী না হয়, বরং হালকা পাতলা খাবার, এবং বেশি রাত করে নয়। সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ মত প্রাণায়াম করা জরুরি।