পিসিওএস নারীদেহে যেমন খুব সাধারণ একটি সমস্যা তেমনই এর হাত ধরে কিন্তু নানা রোগ শরীরে দেখতে পাওয়া যায়, একেতেই হরমোনের গোলমাল সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের উপক্রম, এই দুটি কিন্তু সাংঘাতিক ভাবে সম্পর্কিত। পিসিওএস থাকলেই নানান কিছুর পরিবর্তন করা উচিত, যেমন ডায়েট হোক অথবা স্বল্প মাত্রায় শরীরচর্চা। এর কারণে শরীরে অত্যধিক স্থূলতা আসতে পারে, সঙ্গে ডায়াবেটিক এবং আরও অনেক কিছু।
Advertisment
তবে আদৌ এটি ফ্যাটি হেলথের সঙ্গে সম্পর্কিত কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন অবশ্যই তাই। PCOS থেকে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিস সাংঘাতিক মাত্রায় বাড়তে পারে। ঠিক কী কী সমস্যার কারণে এটি হতে পারে?
ইনসুলিনের মাত্রা যদি সঠিক না থাকে।
কোলেস্টেরল লেভেল উচ্চ মাত্রায় থাকলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সেন্ট্রাল অ্যাডিওপসিটি অর্থাৎ তলপেট অঞ্চলে বেশি মেদ সৃষ্টি হওয়া।
স্থূলতা এবং শরীরে পুরুষ হরমোনের বহিঃপ্রকাশ।
কীভাবে এই সমস্যার ঠিক রেহাই পাওয়া যায়?
সবদিকেই সমান নজর রাখতে হবে। শুধু খাওয়াদাওয়া নয়, সময় মেপে শরীরচর্চা, ওজন সঠিক রাখতে হবে।
গবেষণা বলছে ৩০ থেকে ৬০ মিনিট সপ্তাহে দুই তিনদিন ব্যায়াম করা বেশ লাভদায়ক ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে। হালকা ওয়েট লিফটিং করলেও কাজে দেবে। তবে মাথায় রাখতে হবে হেলদি ভাবে ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়া সবথেকে বেশি ভাল।
বদল আনতে হবে খাবারেও, ডায়েটের পরিবর্তন থাকা জরুরি। প্রতিদিনের খাবার থেকে ফ্যাটি ফুড, কার্ব জাতীয় এমনকি যেগুলো অতিরিক্ত চিনি যুক্ত, প্রসেসড খাবার, এগুলি কমিয়ে দিতে হবে। এই খাবার গুলি থেকে স্থূলতা এবং ইনসুলিন বৃদ্ধি মারাত্মক হতে পারে। যেটি আপনার পক্ষে ভাল নয়।
রইল বেশ কিছু টিপস :-
বেশি রাত করে খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
কম পরিমাণে এবং হালকা পাতলা খাবারই আপনার জন্য ভাল।
বেশি পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ডায়েটে যোগ করুন। ২-৩ টি ফল এবং সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভাজাভুজি একদম না। চেষ্টা করুন বাড়ির খাবার খেতে।
প্রতিদিন ২ লিটার জল খেতে হবে, বিশেষ করে গরম কালে অবশ্যই।