বেশিরভাগ মেয়েদের আজকাল এই সমস্যা খুব স্বাভাবিক। পিসিওএস নিয়ে ভয় পাওয়ার কিন্তু কিছুই নেই। বরং যেই বিষয়ে ধ্যান রাখতে হবে তা হল প্রতিদিনের রুটিনে কিছু পরিবর্তন! যেমন খাওয়াদাওয়ার পরিবর্তন, মানসিক শান্তি এবং মন থেকে ভাল থাকার উপায়।
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা ডিকসা ভবসার এই সমস্যার প্রসঙ্গে বলেন, পিসিও এস খুব স্বাভাবিক কিছু কারণেই হয় এবং এর থেকে যেই ধরনের সূত্রপাত ঘটে তার মধ্যে ডিম্বাশয়ের অভাব, মূত্র ত্যাগে খামতি, ওজনের হেরফের, জেনেটিক্স জাতীয় সমস্যা, এবং থাইরয়েডের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যথারীতি চিকিৎসাশাস্ত্রে এর থেকে তৎপরতার সঙ্গে মুক্তির উপায় তো নেই, সবই সময় সাপেক্ষ। তবে আয়ুর্বেদের পথে এর থেকে ধীরে ধীরে রেহাই সম্ভব। ভবসার বলেন, শুধু কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাসে বদল আনলেই হবে।
• সমস্ত অনভ্যাসের থেকে দূরে থাকতে হবে! যেমন দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা, রাত করে ঘুমাতে যাওয়া, অলসতা, বাইরের ফাস্ট ফুড বেশি খাওয়া, সারারাত জেগে থাকা, জল কম খাওয়া এগুলি কিন্তু শরীরে নানান রোগের জন্ম দিতে সক্ষম। তাই এই বিষয়গুলিতে পরিবর্তন আনতে হবে।
• ওষুধ সেবন থেকে দূরে থাকুন : তিনি বলেন, সব রোগের জন্য ওষুধ নয়। যখন পারবেন ওষুধ খেতে শুরু করবেন না। পিল জাতীয় ওষুধ নানান ধরনের হরমোনের পরিবর্তন ঘটায়। যেটি শরীরের পক্ষে খারাপ। তাই ওষুধ থেকে দূরে থাকুন।
• শরীরচর্চা : সারাদিন একনাগাড়ে বসে থাকবেন না। শরীর চালনা করুন। এদিক ওদিক হাঁটাচলা করুন। যোগা, কপালভাতি, সূর্যনমস্কার, জুম্বা ক্লাস, স্কিপিং হোক কিংবা নাচের ক্লাস যেভাবেই হোক শরীরকে সচল রাখুন।
• পুষ্টিকর খাবার : অতিরিক্ত তেল ঝাল মশলা যুক্ত খাবার থেকে দূরে যান। বাড়িতে সদ্য নির্মিত খাবার খান। ফলের রসের থেকে গোটা ফল খান। বাটার মিল্ক খাওয়া অভ্যাস করুন। ভাজাভুজি খাবেন না।
• প্লাস্টিক বর্জন : প্লাস্টিক জাতীয় যেকোনও জিনিস থেকে সংস্পর্শ দূরে করুন। জলের বোতল থেকে টিফিন বক্স, প্লাস্টিকের ব্যবহার করবেন না। তামার পাত্র কিংবা স্টেনলেস স্টিলের পাত্রে রান্না করুন।
• মন ভাল রাখুন। গান শুনুন, সিনেমা দেখুন! প্রয়োজনে কিছু সময় আড্ডা দিন। বই পড়ুন। ৮ ঘণ্টা মত ঘুমান। ২/৩ লিটার জল খান। যেভাবে ভাল থাকবেন তাই করুন। নিজেকে সুস্থ রাখতে গেলে এটুকু করাই যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন