স্থির এবং সুনিশ্চিত আয় না থাকলে আপনার মানসিক উদ্বেগ বেড়ে যাওয়া খুব অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। কিন্তু এর গুরুত্ব বোঝাতে সম্প্রতি একটি সমীক্ষার আয়োজন করেছিল 'দ্য করোনারি আর্টারি রিস্ক ডেভেলপমেন্ট ইন ইয়ং অ্যাডাল্টস' বা সংক্ষেপে কার্ডিয়া। সমীক্ষার ফলাফল বলছে ব্যক্তিগত রোজগারের ওঠাপড়ায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। এমন কী মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে তা থেকে।
১৯৯০ সাল থেকেই নিয়মিত সমীক্ষা চালিয়ে আসছে কার্ডিয়া। তরুণ বয়সে জটিল হৃদরোগে আক্রান্ত কিমবা হৃদরোগ জনিত কারণে অকাল মৃত্যুর সঙ্গে ব্যক্তিগত আয়ের তারতম্যের সম্পর্ক কতটা নিবিড়, গত তিন দশক ধরে নিয়মিত তার হিসেব রাখছে কার্ডিয়া।
ফ্লোরিডার মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানে গবেষণারত বিজ্ঞানী তালি এলফ্যাসি এই প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা করেছেন, কেন টাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। "ব্যক্তিগত আয়ের সঙ্গে হৃদরোগ বা হৃদরোগ জনিত মৃত্যুর প্রত্যক্ষ সম্পর্ক প্রমাণ করা যায়নি এখনও। তবে অনিয়মিত রোজগারের সঙ্গে অতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যেস, নিয়মিত শরীরচর্চা না করা, মানসিক উদ্বেগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো বিষয়গুলোর সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে"।
মেডিকাল নিউজ ডেইলি সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী কার্ডিয়া প্রথমে ১৯৯০ থেকে ২০০৫। এই ১৫ বছরের পাঁচটি হিসেব নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল। যাদের আয় আগের বছরের তুলনায় কমেছে, বা শতকরা হার কমেছে আয়ের, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা হয়েছে। এই ভাগের মধ্যে পড়া তরুণ সম্প্রদায়ের ২০০৫ থেকে ২০১৫এর মধ্যে কারা হৃদরোগে ভুগেছেন, কাদের হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে, কাদের মৃত্যু হয়নি, সেগুলোও খেয়াল রাখা হয়েছিল সমীক্ষা চলাকালীন।
'সার্কুলেশন' জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বাদ রাখা হয়েছিল সে সব ব্যতিক্রমী ঘটনাকে, যেখানে কোনো তরুণের আগে থেকেই হৃদজনিত সমস্যা রয়েছে। গবেষণায় এটা স্পষ্ট, যে অনিয়মিত আয় হৃদরোগের সমস্যাকে অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়, এবং সেই সঙ্গে রোগের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকি দ্বিগুন বাড়িয়ে দিতে পারে অনিয়মিত আয়।
Read the full story in English