জীবন এখন সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনময়। এটিকে ছাড়া জীবনে বাঁচা দায়, যদিও বা ভ্যাকসিন গ্রহণ করে প্রচুর মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাও আবার দ্বিতীয় বারের মতো। তবে বিদেশের বুকে মডার্না এবং ফাইজার কিন্তু RNA ভ্যাকসিন হিসেবে যথেষ্ট কার্যকারিতা দেখিয়েছে। তার পরেও মানুষের ভুল এবং গাফিলতির কারণেই যত সমস্যা! তবে ভ্যাকসিনের মধ্যে মডার্না ( Moderna ) এবং ফাইজারের ( Pfizer ) মধ্যে কোনটিকে অব্যর্থ বলে বেছে নিয়েছেন চিকিৎসকরা?
গবেষণা কী বলছে?
গবেষণা এবং সূত্র বলছে, মডার্না এম ভ্যাকসিন সাধারণত বেশি সুরক্ষা দিয়েছে। সেইখানে ফাইজার বায়োএনটেক এমরেনা ভ্যাকসিন একটু কমই নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছে। নতুন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যাঁরা মডার্না গ্রহণ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে খুব কমই আছেন যাঁদের শারীরিক অসুবিধায় হাসপাতালে যেতে হয়। বরং ফাইজারের প্রভাব সঠিকভাবে সুরক্ষা না দেওয়ায় অনেকেই হাসপাতালে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।
কেন এই বিষয়টিকে চিহ্নিত করা হয়েছে?
নয়া গবেষণায় জানা গিয়েছে, রোগীর শরীরের বৈশিষ্ট্য তাদের ওপর ভ্যাকসিনের প্রভাব এবং নানান সময় বিবেচনা করে দেখা গিয়েছে মডার্না এমরেনা ভ্যাকসিন যাঁরা গ্রহণ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে শারীরিক কিছু লক্ষণ ভ্যাকসিন গ্রহণের পরেই যেমন, জ্বর আসা, অনেকের ক্ষেত্রেই গায়ে হাতে ফুসকুড়ি এগুলি দেখা গিয়েছিল। তবে ফাইজারের ক্ষেত্রে সেটির অনেক পার্থক্য দেখা গেছে। বিশেষ করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিহত করতেই এই ভ্যাকসিন গুলি কতটা কাজ করেছিল, সেই নিয়েই ধারণা নেওয়া হয়েছিল।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন দুটি ভাইরাসের মধ্যে মলিকিউল এবং অ্যান্টিবডি যেমন ভিন্ন তেমনই দুটির সমস্ত রকম সক্রিয়তা নির্ভর করে গ্রহীতার শরীরের ওপর। তবে ভাইরাসের সঙ্গে লড়বার ক্ষমতা অবশ্যই মডার্না ভ্যাকসিনের অনেক বেশি এবং সক্রিয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণা জানিয়েছে, সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে অ্যান্টিবডির মাত্রা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কোন ভ্যাকসিন বেশি ক্ষমতাশালী।
সিডিসি-র তরফে জানানো হয়েছে যুগান্তকারী পরিবর্তন তখনই ঘটে যখন ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ সম্পূর্ণ করার পরেও মানুষ পুনরায় সেই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ডেল্টার ক্ষেত্রেই হাসপাতালে পৌঁছানোর মত ব্যক্তি সংখ্যা বেশি ছিল। এবং সেই সময় কিন্তু মডার্না ভ্যাকসিন সত্যিই দারুণ কাজ করেছে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।
তবে এইবার চিকিৎসকদের আশঙ্কাই যেন একেবারে সঠিক হল। তারা জানিয়েছিলেন ওমিক্রনের সঙ্গে লড়তে গেলে বুস্টার একটু হলেও কমজোরি, সংক্রমনের বিষয়টিকে নিশ্চিত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে এত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া একেবারেই ঠিক নয়। বরং নিজেদেরকে সাবধানে রাখা উচিত। লাগামছাড়া আনন্দ মুশকিলে ফেলতে পারে, অন্তত আর একমাস নিজেদের আয়ত্বে রাখুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন