সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কারণে এই বছরের চার ধাম যাত্রায় ১২০ জনেরও বেশি তীর্থযাত্রী মারা গেছেন। প্রাণহানি ঠেকাতে, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ৫০ ও তদূর্ধ্ব তীর্থযাত্রীদের বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে। এবছর চার ধাম যাত্রা শুরু হয়েছে ৩ মে।
কেদারনাথ (৩,৫৫৩ মিটার), বদ্রীনাথ (৩,৩০০ মিটার), যমুনোত্রী (৩,২৯১ মিটার) ও গঙ্গোত্রী (৩,৪১৫ মিটার)- এই চার পবিত্র তীর্থস্থানকে বলা হয় চার ধাম। হৃদযন্ত্রের সমস্যা এবং শ্বাসকষ্টজনিত কারণে প্রতিবছর উচ্চ থেকে উচ্চতর তীর্থস্থানগুলোয় তীর্থযাত্রীদের মৃত্যু হলেও, এই বছর সংখ্যাটা অস্বাভাবিক বেশি হয়েছে। এমনটাই বলছে সরকারি রিপোর্ট।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাথে কথা বলার সময়, উত্তরকাশী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. কে এস চৌহান বলেন, ' যে জেলায় যে সমস্ত তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, দেখা গিয়েছে তাঁরা পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করছিলেন। এই হাঁটাপথগুলো ক্রমশই ওপরের দিকে উঠে গেছে। লোকেরা যখন হাঁটতে থাকেন, তখন তাঁরা অক্সিজেন কমে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন না। মানুষ পর্যাপ্ত বিশ্রাম ছাড়াই চলতে থাকে। তারপর মাথা ঘোরার অভিযোগ করে। যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা ছিল। কেউ কেউ আবার গতবছর কোভিডেও আক্রান্ত হয়েছিলেন।'
বিশেষজ্ঞ কমিটির দাবি, এবার যত তীর্থযাত্রী চার ধামে এসেছেন, তার ৬০ শতাংশ গুরুতর অসুস্থতা বা অন্য ধরনের অসুস্থতায় ভুগছিলেন। উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্যসচিব রাধিকা ঝা এই প্রসঙ্গে বলেন, 'যাত্রাপথে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে। যাঁরা অযোগ্য প্রমাণিত হয়েছেন, তাঁদের ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ, কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিতে চরম ঠান্ডা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা এবং হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মত অন্যান্য অসুস্থতায় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।'
আরও পড়ুন- সবাই ভয় পান শনিকে কিন্তু, শনি ভয় পান হনুমানকে, জানেন কেন?
এই পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে উত্তরাখণ্ড সরকার বিশিষ্ট চিকিৎসকদের একটি দল, ১১২টি অ্যাম্বুল্যান্স এবং এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা তীর্থযাত্রীদের জন্য মোতায়েন রেখেছে। সেই দলের চিকিত্সকরাও জানিয়েছেন, যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেই তীর্থযাত্রীরা যাত্রাপথে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। তাঁদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।
Read full story in English