চৈত্রসেলের মায়াময় হাতছানি এড়াতে পেরেছেন এমন বাঙালি বোধহয় খুব কমই আছেন কলকাতা শহরে। অন্তত এই কদিন বঙদের শপিং নয়, চলে বাঙালির চৈত্র সেলের মার্কেটিং। আসলে চিরকালই হুজুগে মাততে ভালবাসেন বাঙালি। বারোমাসে তেরো পার্বনে মেতে থাকা বাঙালির পয়লা বৈশাখ অন্যতম হুজুগ। বাঙালি মানেই নতুন যে কোন উৎসবে নতুন জামাকাপড়, খাওয়া-দাওয়া। আর পয়লা বৈশাখে বং থেকে বাঙালি মাতেন নতুনের আনন্দে। জামাকাপড়েও সাবেকিয়ানাই কথা বলে এদিন। কর্পোরেট হাউস থেকে মাইক্রো মিনি সেলেবও এদিন বেছে নেন শাড়িটাই। তবে যুগের হাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদল এসেছে সাবেকীয়ানাতেও, বদলেছে রুচিও। সে সব নিয়েই কলকাতার বাঙালি -অবাঙালি ফ্যাশন ডিজাইনারদের সঙ্গে কথা বললেন দেবস্মিতা দাস।
ফ্যাশন ডিজাইনার অনুশ্রী মলহোত্রার কথায়, সারাবছর ওয়ের্স্টান পরে তো থাকেই, একটা দিন সকালে সাবেকী বাঙালি সাজে মন্দ লাগেনা। আর আমার কাছে পয়লা বৈশাখ মানেই লাল সাদার সম্ভার।
ছবি- অনুশ্রী মলহোত্রার ফেসবুক পেজ থেকে।
তবে ডিজাইনার অভিষেক রায়ের মতে, শাড়ি পয়লা বৈশাখের প্রথম পছন্দ হলেও মেয়েদের জন্য তাঁর তালিকায় রয়েছে লিলেন লং ড্রেসও। ফেস্টিভ্যালের জন্য শুধু নয় গরমে আরামদায়কও বটে। ছেলেরা পোশাকের পরীক্ষা নিরীক্ষায় ভয় পেলেও নতুন কিছু ট্রাই করার প্রবণতা বেড়েছে তাদেরও। ডিজাইনার তাই নতুন ধরনের পোশাকের সম্ভারও এসেছে বাজারে। অ্যাসেন্ট্রিকাল কাটসের কুর্তায় আজকাল স্বচ্ছন্দ অনেকেই। আবার অনেকে চায় বাঙালি সাবেকিআনায় রঙের বদল আনতে।
ছবি- অভিষেক রায়ের ফেসবুক পেজ থেকে।
চৈত্র সেল ধামাকা শুরুর আগে থেকেই দোকানে দোকানে ভিড় জমতে শুরু করে মা-কাকিমারা। জামাকাপড় শুধু নয় বাড়িও সেজে ওঠে নতুন সাজে। বাঙালির সাজ মানেই শাড়ি। আর সাবেকী সাজে আর কিইবা মাথায় আসতে পারে বলুন।