সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে আসা তথ্য বলছে নিম্ন আর্থসামাজিক অবস্থার ছাপ নাকি এতটাই গভীর হয়ে যায় মানুষের মধ্যে, তার ফলে জিনগত কাঠামোতে পরিবরননন আসতে শুরু করে। এবং একটা দুটো নয়, শরীরের দেড় হাজার জিনে স্থায়ী পরিবর্তন আনতে পারে এই নিম্ন আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি।
এর আগের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল সারা বিশ্ব জুড়েই মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার সাথে মানসিক এবং শারীরিক নানা রোগের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, যেখানে যত কম শিক্ষার আলো পৌঁছয়, সমাজের সেই অংশের মানুষের মধ্যে হৃদরোগজনিত অসুখ, ডায়াবেটিস, কিছু বিশেষ ধরনের ক্যানসার, এবং সংক্রামক রোগ বেশি হয়।
আরও পড়ুন, এই ভোটে কি দিন বদলাবে রূপান্তরকামীদের?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সমীক্ষায় সম্প্রতি যা সামনে এল, তা হল দারিদ্র জিনের ওপর স্থায়ী প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ দীর্ঘদিন দারিদ্র্যের মধ্যে থাকলে জিনের গঠনগত পরিবর্তন আসে। পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে ডিএনএ মিথাইলেশনে সবচেয়ে বেশি পড়ে মানুষের আর্থসামাজিক পরিস্থিতির প্রভাব।
জিনোমের (মানবদেহের জিনের সমষ্ঠি) ১০ শতাংশ জিনের ওপর ছাপ ফেলে দারিদ্র্য। "প্রথমে আমরা জানতাম আর্থসামাজিক অবস্থার ওপর স্বাস্থ্য নির্ভর করে। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় সেটা সম্পন্ন হয়, জানা ছিল না। কিন্তু তারপর গবেষণায় দেখা গেল ডিএনএ মিথাইলেশনের সঙ্গে এর সরাসরি যোগ রয়েছে", বললেন ম্যাকডেড, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষক"।
তিনি আরও জানিয়েছেন, "গবেষণা থেকে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে কেন দারিদ্রের সঙ্গে বিশেষ কিছু শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়া সরাসরি জরিয়ে রয়েছে"।
গবেষণা সম্পন্ন হলে আমরা আপনাদেরকে বিস্তারিত ধারণা দিতে পারব, কীভাবে আর্থ সামাজিক অবস্থা মানব শরীরে স্থায়ী আণবিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে", জানালেন গবেষক ম্যাকডেড।