যেকোনও মেয়েকে গর্ভাবস্থায় কিন্তু ভীষণ যত্নে এবং রোগমুক্ত থাকতে হয়। বিশেষ করে এই অতিমারীর সময়ে যে বা যারা মা হয়েছেন চিকিৎসকদের কথা মতই কিন্তু পদে পদে তাদের সতর্ক থাকতে হয়েছে। তবে বেশিরভাগ সময়ই কানাঘুষো শোনা যায়, যে এইসময় নাকি মায়ের শরীরের সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদেরও বেশ কিছু সমস্যায় ভুগতে হয়! গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ থাকাকালীন তাদের পোহাতে হয় অনেক কঠিন পথ?
চিকিৎসকরা এই প্রসঙ্গে কী বলছেন?
তাদের মতামত, এইসময় মায়েদের একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হয় তবে সবসময় মোটেই কোভিড সময়কালীন ক্ষেত্রে বাচ্চা কিংবা ভ্রূণের ক্ষতি হবে এটি ভাবা ঠিক নয়। এখন বেশিরভাগ মানুষই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন, তাই তাদের শরীরে ইমিউনিটি অবধারিত রয়েছে। এইসময় একজন মায়ের শরীরে এমনই হরমোনাল সমস্যা থাকে, তাই বেশি চিন্তা করলে একেবারেই লাভ তো হবে না বরং ক্ষতিই হবে।
তবে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে এই প্রসঙ্গে সেগুলো ভাঙ্গা দরকার! নাহলে বেজায় মুশকিল!
ধারণা : গর্ভবতী হলে কোভিড সংক্রমিত হবেন না।
সত্যতা : এই ধারণা ভুল। ভাইরাসের প্রকোপ সবার ওপর পড়তে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে সম্ভব। একথা সত্য যে গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে ইমিউনিটি অনেক কম থাকে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব তাদের ওপর পড়তে পারে তাই সেটি সহজেই নিজের রূপ দেখাতে পারে। সুতরাং সেফটি প্রটোকল মেনে চলতে হবে।
ধারণা : কোভিড গর্ভাবস্থায় জটিলতার সৃষ্টি করে
সত্যতা : গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ভাইরাস সাংঘাতিক ভাবে কোনও ক্ষতি করে এমন প্রমাণ নেই। অনেকেই বলে থাকেন বাচ্চা আকারে ছোট হয়। কিংবা ভ্রূণের ক্ষতি হয় তবে সবকিছুই সম্পূর্ণ মিথ্যে একটি বিষয়। এমনকি শিশুদের স্তন্যপান করানোর উপদেশ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। তবে যাই করবেন যদি শরীরে উপসর্গ থাকে তবে মাস্ক পরে।
ধারণা : কোভিড বেবি প্ল্যানিং করতে বাধা দেয়?
সত্যতা : যারা বেবি প্ল্যানিং করতে চান তারা অবধারিত করতে পারেন। করোনা ভাইরাস কিংবা ভ্যাকসিন সম্পর্কিত কিছুই আপনাকে এই ক্ষেত্রে ক্ষতি করবে না। তাই ঋতুচক্রের অনিয়মের প্রশ্ন নেই। কিংবা গর্ভপাতের ভয়ও নেই। সুতরাং ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। শান্ত থাকুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন