চারিদিকে কোভিড ১৯ এর আতঙ্ক! কান পাতলেই এর ওর মধ্যে সংক্রমণের নিশ্বাস শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ নিজেদের মধ্যে বিধিনিষেধ মানলেও অনেকেই আবার নিজের বদ অভ্যাসই বহাল থাকছে, পড়ছেন না মাস্ক, মানছেন না দূরত্ব! এর মধ্যেই গর্ভবতী মহিলাদের কী ওমিক্রন সংক্রান্ত কোনও ভয় থাকছে? কী বলছেন চিকিৎসকরা?
বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের কিন্তু এই সময় বেশ সুস্থ থাকতে হয়। নিজেদেরকে যত্নে থাকতে হয়। এর আগে যদিও দেখা গেছিল গর্ভবতী মায়ের শরীরে করোনা বাসা বাঁধলে শিশুদের মধ্যে কিছুটা কম ইমিউনিটি। কোভিড ১৯ এর সময় আর দেখা গিয়েছিল, শিশু জন্মের ক্ষেত্রে অনেকেই প্রী ম্যাচিউর বার্থের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তবে ভাইরাসের ধরন বদলেছে, পাল্টেছে এর মিউটেশন মাত্রা। সুতরাং বদল কিছু হলেও থাকবে। তাহলে এবারও কী থাকছে সমস্যা?
মার্কিনী সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে কোভিড ১৯ এর কারণে গর্ভবতী মহিলাদের সেইভাবে কোনও সমস্যা নেই। তবে কোনও মা যদি এই অবস্থায় শিশু জন্ম দেন তবে বাচ্চার শরীরে দেখা যেতে পারে ভাইরাসের প্রকোপ। এবং ওদের মধ্যে যেহেতু ইমিউনিটি একেবারেই ইম ম্যাচিউর, সেই কারণে ঝুঁকিও থেকে যাবে। সুতরাং এক ধরনের সংকট সমস্যা কিন্তু থাকছেই। জীবন পরবর্তী এই আশঙ্কা থাকছে শিশুদের মধ্যে। এবং চিকিৎসকদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কা করছেন এই প্রভাব মহামারীর পরেও শিশুদের মধ্যে থাকবে।
গর্ভবতী মহিলাদের টিকাকরণ করা উচিত?
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে টিকাকরণে একেবারেই সমস্যা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি অনুসারে একেবারেই তাদেরকে প্রয়োজনীয় টিকা প্রদান করা হবে। এবং পরবর্তীতে স্তন্যপানের ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা হবে না। সবথেকে বড় কথা, এমন কোনও সময়সীমা ধার্য করা নেই যাতে করে এই দিনের মধ্যে টিকা করণ না করলে মুশকিল হতে পারে। সুতরাং নবজাতকের দিকে তাকিয়ে মায়ের কিন্তু সবরকম সুবিধা নিয়ে নেওয়াই উচিত। কারণ যদি মায়ের শরীরে প্রতিরক্ষা দেওয়া থাকে তবে বাচ্চার শরীরেও কোনও সমস্যা হবে না।
তবে চিকিৎসকদের মতামত, এই সময় নারীদেহে অনেক রকম পরিবর্তন হয় এবং সেই থেকেই মানসিক ভাবে অনেক কিছু অনুভূত হয় তাদের। কোভিডের বিধিনিষেধের কারণে ভয় বাড়তে পারে, উদ্বেগ থাকতে পারে তাই এই সময় ভ্যাকসিন নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকা উচিত। চেষ্টা করবেন যেন ভাইরাস সংক্রমিত না হন। তাছাড়াও ভাল করে খাওয়াদাওয়া এইসময় করা উচিত! এতে বাচ্চা এবং মা উভয়ের শরীরই ভাল থাকবে। তার সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে দূরে থাকাই উচিত।
যেহেতু বারবার নবজাতকদের মধ্যেও সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা থাকছে তাই, মায়েদের একটু হলেও নিজের খেয়াল রাখা উচিত। চেষ্টা করবেন যেন সংক্রমিত না হন। শুধুই ভ্যাকসিনের ভাল দিক নয়, ভাইরাসের খারাপ দিক কিন্তু ওদের শরীরে প্রবাহিত হতেই পারে। এবং সেগুলি প্রভাব দেখাতে পারে ওদের বেড়ে ওঠার পথে কিংবা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা গঠনে। তাই সতর্ক থাকুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন