বর্ষাকালে রোগের শেষ নেই। পেটের গোলমাল থেকে স্কিনের সমস্যা তার সঙ্গে জ্বর সর্দি কাশি তো রয়েছেই। তবে বর্ষায় কিন্তু আরেকটি রোগের সূত্রপাত হতেই পারে। চোখের নানান ধরনের সমস্যা কিন্তু অনেকসময়ই বর্ষাকালে শোনা যায়। কনজাংটিভাইটিস তার মধ্যে অন্যতম। চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী, এই সময় বাতাসে নানান ধরনের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি ঘুরে বেড়ায়।
এছাড়াও অকারণে চোখ লাল হয়ে জল পড়া অথবা চোখের একপাশ ফুলে যাওয়া মাঝে মাঝে চুলকানি অনুভূত হয়। অনেকেই আবার বলেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যথাও হতে পারে। ডা রাজ কুমার জৈন (অপথালমলোজিস্ট) বলেন, এই সময় বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায় যা ফলেই তাতে জীবাণু এবং ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। তার সঙ্গে 'স্তাই' নামক একটি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন এই সময় অনেক মানুষকে ভীষণ যন্ত্রণা দেয়। তাই এর থেকে আপনাদের সুস্থ থাকতে হবে। অনুসরণ করতে হবে নানান পদ্ধতি।
তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী,
• হাত না ধুয়ে কখনই চোখে নাকে দেওয়া উচিত নয়। সবসময় হাত ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে স্যানিটাইজার লাগিয়ে তবেই চোখে হাত দিন। নয়ত সেই জীবাণু হাত থেকেই চোখে ছড়িয়ে পড়বে।
• নিজের তোয়ালে, নাপকিন এবং রুমাল অন্য কারওর সঙ্গে ভাগ করবেন না।
• চোখে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে একেবারেই মেকআপ লাগাবেন না।
• চোখ মাঝে মাঝেই ব্লিঙ্ক করুন। বেশি করে জল খান, আর প্রতি ২০ মিনিট অন্তর অন্তর ২০ মিটার দূরের কোনও বস্তুর দিকে ২০ সেকেন্ড দৃষ্টি নিক্ষেপ করুন।
• এমন কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না যেটি চোখের আরও ক্ষতি করে।
• বাইরে বেরোলে কালো চশমা অবশ্যই ব্যবহার করুন।
• বাইরের কোনও দরজা, হাতল এমনকি বাস ট্রেনের দরজায় হাত দিয়ে চোখে হাত দেবেন না। আগে হাত পরিস্কার করুন।
• চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নিন, চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন।
• গাজর এবং গুগলি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
• যতটা সম্ভব হবে, সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থাকুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন