ঠিক যেন রূপকথার গল্প! সাদা প্রিন্সেস গাউন, মাথায় স্পেন্সার টিয়ারা সঙ্গে সাদা গোলাপ আর টিউলিপ ফুলের তোড়া! সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল সেদিন সেজে উঠেছিল ডায়ানা আর চার্লসের বিবাহ বাসরে। রানির রাজত্বে গোটা পৃথিবী সাক্ষী থেকেছিল এক স্বপ্নের বিবাহের। প্রিন্সেস ডায়ানার রূপের মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ে সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে বিশ্বের আনাচে কানাচে।
প্রায় ৪০ বছর পর বিক্রি হতে চলেছে প্রিন্স চার্লস এবং প্রিন্সেস ডায়ানার ওয়েডিং কেকের একটি টুকরো। বলতে গেলে, এটি ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিশেষ একটি সম্পদ। সূত্র অনুযায়ী, কেকের এই স্লাইস ফুলের কেক টিনের ভেতরে জড়িয়ে রাখা হয়। দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, কেকের টুকরোটি আট ইঞ্চি বাই সাত ইঞ্চি মাপের। আইসিং এবং মার্জিপানের উপর লাল, সোনালি এবং নীল রঙের রয়্যাল কোট অফ আর্মসের প্রতীক রয়েছে।
১৯৮১ সালে তাঁদের জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে, ব্রিটিশ রাজবাড়িতে ২৩টি কেকের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ছিল পাঁচ ফুট লম্বা সেন্টারপিস ফ্রুটকেক। জানা যায়, কেকের এই স্লাইসটি মোয়রা স্মিথকে দেওয়া হয়েছিল, তিনি ক্লেয়ারেন্স হাউসে রানির কর্মচারী ছিলেন। এই কেক থেকে কেটেই ক্লারেন্স হাউসে কর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। কেকটির উপর একটি লেবেলে লেখা ছিল, "হ্যান্ডেল উইথ কেয়ার - প্রিন্স চার্লস এবং প্রিন্সেস ডায়ানার বিবাহের কেক।" মোয়রা, যথেষ্ট যত্ন সহকারে এতদিন ২০০৮ সাল পর্যন্ত নিজের কাছে রেখে দেন। তারপর একজন সংগ্রাহক এটি নিজের কাছে সংগ্রহ করেন এবং বর্তমানে নিলামকারীদের সঙ্গে গ্লোসেস্টারশায়ারের সিরেন্সেস্টারে ডোমিনিক উইন্টারে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন সৌদির ইতিহাসে প্রথম, হজের সময় মক্কা-মদিনার পাহারায় মহিলা সেনা
ব্রিটিশ রাজপরিবার নিয়ে কৌতুহল বিশ্বের প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে। তাদের জীবনযাত্রা থেকে পোশাক আশাক, রাজবাড়ির অন্দরমহলের নানান চিত্র ফুটে ওঠে নানান সোশ্যাল সাইটে। ডমিনিক উইন্টারের বিশেষজ্ঞ ক্রিস অ্যালবারি বলেন, “এটি খাওয়ার পরামর্শ তিনি দেবেন না, ৪০ বছর পরে এটি কতটা খাদ্যপোযোগী সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করছেন তিনি।এই কেক একটি কৌতূহলী এবং অনন্য স্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী যা ডায়ানা এবং চার্লসের রাজকীয় বিবাহ উদযাপনের সঙ্গে আন্তরিক ভাবে জড়িত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন